ব্লাড প্রেশার মেশিন

কয়েক বছর আগে আব্বার জন্য একটা ম্যানুয়াল ব্লাড প্রেশার মেশিন কিনেছিলাম বিএমএ ভবন থেকে। একটা বিপি মেশিন আর একটা ষ্টেথো, দাম কতো নিয়েছিলো মনে নাই। তবে ১৬০০ বা ১৮০০ টাকা হতে পারে। যাই হোক। শশ্রুমন্ডিত ভদ্রলোক জিনিস প্যাক করে দেয়ার আগে বলেছিলেন বিপি মেশিন সাথে দেয়া পাউচে রেখে যেন মুখটা খোলা রাখি। এতে নাকি মেশিন ভাল থাকবে।
 
মেশিনটা আসলে এরপর খূব একটা ব্যবহার করা হয় নাই। বাসায় ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে লোক আসলে হয়তো মেপে দিতো। আমি ব্যবহার করতাম ডিজিটাল মেশিন। একসময় ষ্টেথো আর এই বিপি মেশিন একটা শপিং ব্যাগে করে ওয়ার্ডরোব এ রেখে দিয়েছিলাম।
 
গতকাল ওয়ার্ডরোব পরিস্কার করতে গিয়ে শপিং ব্যাগ বের করে তো আমার চক্ষু চরকগাছ। ষ্টেথোর পাইপ দেখি বিপি মেশিনের পাইপের সাথে আটকে আছে কয়েক জায়গায়। বিপি মেশিনের পাইপগুলি এতোই নিম্ন মানের রাবার দিয়ে তৈরী ছিলো যে গলে গেছে। ষ্টেথো ছাড়াতে গিয়ে ছিড়েই গেলো। পাউচের মুখ কেন খোলা রাখতে বলেছিলেন এবার বুঝলাম।
 
স্পঞ্জ স্যান্ডেলের রাবারও মনে হয় এর থেকে ভাল।
 
(কমেন্টস থেকে জানা গেলো এই ব্লাড প্রেশার মেশিনগুলো এমনই। কিছু কিছু ফার্মেসীতে এই রাবার পার্টসগুলোর রিপ্লেসমেন্ট পাওয়া যায়। তবে আমার মতে বাসায় ব্যবহারের জন্য ডিজিটাল বিপি মেশিনই ভাল। যে কেউ ব্যবহার করতে পারবে। ভাল ডিজিটাল মেশিন হলে রিডিং এর পার্থক্য ৫-১০ হয়ে থাকে)
 
ফেসবুক ষ্ট্যাটাস ২৪শে জুলাই, ২০২১

ফেসবুক মন্তব্য

রিফাত জামিল ইউসুফজাই

জাতিতে বাঙ্গালী, তবে পূর্ব পূরুষরা নাকি এসেছিলো আফগানিস্তান থেকে - পাঠান ওসমান খানের নেতৃত্বে মোঘলদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে। লড়াই এ ওসমান খান নিহত এবং তার বাহিনী পরাজিত ও পর্যূদস্ত হয়ে ছড়িয়ে পড়ে টাঙ্গাইলের ২২ গ্রামে। একসময় কালিহাতি উপজেলার চারাণ গ্রামে থিতু হয় তাদেরই কোন একজন। এখন আমি থাকি বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায়। কোন এককালে শখ ছিলো শর্টওয়েভ রেডিও শোনা। প্রথম বিদেশ ভ্রমণে একমাত্র কাজ ছিলো একটি ডিজিটাল রেডিও কেনা। ১৯৯০ সালে ষ্টকহোমে কেনা সেই ফিলিপস ডি ২৯৩৫ রেডিও এখনও আছে। দিন-রাত রেডিও শুনে রিসেপশন রিপোর্ট পাঠানো আর QSL কার্ড সংগ্রহ করা - নেশার মতো ছিলো সেসময়। আস্তে আস্তে সেই শখ থিতু হয়ে আসে। জায়গা নেয় ছবি তোলা। এখনও শিখছি এবং তুলছি নানা রকম ছবি। কয়েক মাস ধরে শখ হয়েছে ক্র্যাফটিং এর। মূলত গয়না এবং নানা রকম কার্ড তৈরী, সাথে এক-আধটু স্ক্র্যাপবুকিং। সাথে মাঝে মধ্যে ব্লগ লেখা আর জাবর কাটা। এই নিয়েই চলছে জীবন বেশ।