দার্জিলিং

বেড়াতে বের হয়ে শুনলাম আমরা দার্জিলিং যাচ্ছি। দার্জিলিং !!! শ্রীমঙ্গলে দার্জিলিং আসলো কি করে !?! পরে জানলাম এম আর খান টি এষ্টেটে একটা ছোট টিলা আছে যেখান থেকে বার্ডস আই ভিউ’তে মনে হয় দার্জিলিং। এমনিতে সব টি এষ্টেট / চা বাগানে কম-বেশী টিলা আছে, তবে সেগুলোতে সাধারণের প্রবেশ নিষেধ। আবার কোন কোন টিলায় উঠা বেশ শ্রমসাধ্য। যদিও চা বাগানের শ্রমিকেরা ২০+ কেজি চা পাতার বোঝা নিয়ে হরহামেশাই এই সব টিলায় উঠা-নামা করতেছে।
 
গ্র্যান্ড সুলতান টি রিসোর্টের উল্টা দিকের সরু রাস্তা দিয়ে এম আর খান টি এষ্টেটে যেতে হয়। রাস্তা মোটামুটি, কোথাও পাকা এবং কোথাও ইটের সোলিং। তবে বেশ সরু রাস্তা। এমন অনেক জায়গা আছে যেখানে দুটি গাড়ী পাশাপাশি যেতে পারে না। তখন কোন এক গাড়ীকে পিছিয়ে প্রশস্থ অংশে নিয়ে জায়গা দিতে হয়।
 
আমরা পৌছাতে পৌছাতে প্রায় সন্ধ্যা হয়ে গিয়েছিলো। টিলার উপর ঊঠা অপেক্ষাকৃত সহজ। বেশ বড় জায়গা নিয়ে স্লোপ করা হয়েছে। টিলার উপর থেকে সূর্যাস্ত দেখা গেলো। চা গাছের সারি ষ্টেপ বাই ষ্টেপ দেখা যায়। ভিউ নিঃসন্দেহে সুন্দর। আলো কমে আসায় এবং বিপরীত দিকে সূর্য থাকায় ফ্ল্যাশ দিয়ে ভ্রমণসঙ্গীদের ছবি তুলতে হয়েছিলো। আরেকটু আগে আসতে পারলে হয়তো আরো ভাল কিছু ছবি তুলতে পারতাম। আরেকটা সমস্যা হলো বিকেলে প্রচুর লোকজন ঘুরতে আসে। ফলে মনুষ্যবিহীন ছবি পাওয়া দুঃসাধ্য।
 

ফেসবুক মন্তব্য

রিফাত জামিল ইউসুফজাই

জাতিতে বাঙ্গালী, তবে পূর্ব পূরুষরা নাকি এসেছিলো আফগানিস্তান থেকে - পাঠান ওসমান খানের নেতৃত্বে মোঘলদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে। লড়াই এ ওসমান খান নিহত এবং তার বাহিনী পরাজিত ও পর্যূদস্ত হয়ে ছড়িয়ে পড়ে টাঙ্গাইলের ২২ গ্রামে। একসময় কালিহাতি উপজেলার চারাণ গ্রামে থিতু হয় তাদেরই কোন একজন। এখন আমি থাকি বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায়। কোন এককালে শখ ছিলো শর্টওয়েভ রেডিও শোনা। প্রথম বিদেশ ভ্রমণে একমাত্র কাজ ছিলো একটি ডিজিটাল রেডিও কেনা। ১৯৯০ সালে ষ্টকহোমে কেনা সেই ফিলিপস ডি ২৯৩৫ রেডিও এখনও আছে। দিন-রাত রেডিও শুনে রিসেপশন রিপোর্ট পাঠানো আর QSL কার্ড সংগ্রহ করা - নেশার মতো ছিলো সেসময়। আস্তে আস্তে সেই শখ থিতু হয়ে আসে। জায়গা নেয় ছবি তোলা। এখনও শিখছি এবং তুলছি নানা রকম ছবি। কয়েক মাস ধরে শখ হয়েছে ক্র্যাফটিং এর। মূলত গয়না এবং নানা রকম কার্ড তৈরী, সাথে এক-আধটু স্ক্র্যাপবুকিং। সাথে মাঝে মধ্যে ব্লগ লেখা আর জাবর কাটা। এই নিয়েই চলছে জীবন বেশ।