টি রিসোর্ট এন্ড মিউজিয়াম

বাংলাদেশ চা বোর্ড পরিচালিত টি রিসোর্ট এন্ড মিউজিয়াম এর কটেজ / বাংলো পরিভ্রমণ। প্রতিরাতের ভাড়া ৯৫০০ টাকা। সাথে পাবেন কমপ্লিমেন্টারি ব্রেকফার্ষ্ট। দূপুর আর রাতের খাবারে খরচ হবে ৫৬৫ টাকা, যদি রিসোর্টের রেষ্টুরেন্টে খেতে চান। সেক্ষেত্রে আগেই কনফার্ম করতে হবে। অন দ্য স্পট অর্ডার করার সূযোগ নাই।
 
আমরা যে কটেজে ছিলাম সেখানে ২টি বেডরুম ছিলো, এটাচড বাথ সহ। ২+২ = ৪ জন থাকা যায়। বাথরুমে গরম পানির ব্যবস্থা আছে। ড্রইং, ডাইনিং এবং একটি বারান্দা আছে। ড্রইং রুমে টিভি, ওয়াইফাই রাউটার আছে। টিভিতে বিভিন্ন চ্যানেল আছে। ওয়াইফাই কাজ করে, ব্যান্ডওয়াইডথ খূব বেশী না হলেও কাজ চালানো যায়। প্রতিটি রুমে এসি এবং ফ্যান আছে। প্রতিদিন ৪টি পানির বোতল এবং টয়লেট্রিজ দেয়া হয়। সাথে টি ব্যাগ। ফ্রিজ এবং ইলেক্ট্রিক কেতলি আছে।
 
রুমের দরজা, ভিতরের কাবার্ডগুলি খূব একটা ভাল না। জোড়াতালি দিয়ে কাজ চলছে। কোন কোন বাংলোতে গরম পানির ব্যবস্থাতে সমস্যা আছে। যেমন আমাদের নেয়া অন্য একটি বাংলোতে বেসিনে গরম পানি পাওয়া গেলেও শাওয়ারে গরম পানি ছিলো না।
 
পুরো এলাকার সিকিউরিটি ভাল। আপনি ইচ্ছে করলে এখানে ঘুরে বেরাতে পারবেন সকাল / সন্ধ্যা। রেষ্টুরেন্টের সাথে একটি সুইমিং পুল আছে। পানি প্রতিদিন চেঞ্জ করা হয়। সব মিলিয়ে খারাপ না।
 

ফেসবুক মন্তব্য

রিফাত জামিল ইউসুফজাই

জাতিতে বাঙ্গালী, তবে পূর্ব পূরুষরা নাকি এসেছিলো আফগানিস্তান থেকে - পাঠান ওসমান খানের নেতৃত্বে মোঘলদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে। লড়াই এ ওসমান খান নিহত এবং তার বাহিনী পরাজিত ও পর্যূদস্ত হয়ে ছড়িয়ে পড়ে টাঙ্গাইলের ২২ গ্রামে। একসময় কালিহাতি উপজেলার চারাণ গ্রামে থিতু হয় তাদেরই কোন একজন। এখন আমি থাকি বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায়। কোন এককালে শখ ছিলো শর্টওয়েভ রেডিও শোনা। প্রথম বিদেশ ভ্রমণে একমাত্র কাজ ছিলো একটি ডিজিটাল রেডিও কেনা। ১৯৯০ সালে ষ্টকহোমে কেনা সেই ফিলিপস ডি ২৯৩৫ রেডিও এখনও আছে। দিন-রাত রেডিও শুনে রিসেপশন রিপোর্ট পাঠানো আর QSL কার্ড সংগ্রহ করা - নেশার মতো ছিলো সেসময়। আস্তে আস্তে সেই শখ থিতু হয়ে আসে। জায়গা নেয় ছবি তোলা। এখনও শিখছি এবং তুলছি নানা রকম ছবি। কয়েক মাস ধরে শখ হয়েছে ক্র্যাফটিং এর। মূলত গয়না এবং নানা রকম কার্ড তৈরী, সাথে এক-আধটু স্ক্র্যাপবুকিং। সাথে মাঝে মধ্যে ব্লগ লেখা আর জাবর কাটা। এই নিয়েই চলছে জীবন বেশ।