মিলাদ, শবেবরাত এবং ….

অনেকদিন আগের কথা। এক মুরুব্বির সাথে কথা হচ্ছিল মিলাদ নিয়ে। অনেকেই বলছেন মিলাদ পড়া বেদাত। আর সে কারণেই মিলাদ পড়া অনেক কমে এসেছিল। সে সময় আরেক আত্মীয় আমাদের কথাবার্তায় যোগ দিলেন। তিনি পড়েছেন মাদ্রাসায়, গ্রামে গঞ্জে ছোটখাটো ওয়াজও করতেন। তিনি বললেন এই দেশে ইসলাম কিন্তু সরাসরি সৌদি আরব থেকে আসেনি। এসেছে পারস্যের লোকজনের হাত ধরে। পারস্যে সে সময় নানা ধরনের সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড পরিচালিত হত। এদেশে এসে তারা দেখলেন এখানেও ১২ মাসে ১৩ পার্বন। লোকজন নানা আচার অনুষ্ঠান পালন করে, সপ্তাহে হয়তো একদিন হাটে যায়। সেই হাটে শুধুমাত্র বাজার সদাই হয় না দূর দূরান্তের মানুষের সাথেও যোগাযোগ হয়। হয়তো সেসময়ের ধর্ম প্রচারকরা এই হাাটের দিনে ধর্ম প্রচার করার জন্য বেছে নিয়েছিলেন। হয়তো কোথাও বসে একটু আলাপ আলোচনা, একটু সামাজিক যোগাযোগ তৈরি। সেই সাথে হয়তো সামান্য বাতাসা বা অন্য কিছু দিয়ে আপ্যায়ন। হয়তো কখনো কখনো আল্লার নাম জপ করা। এভাবেই হয়তো মিলাদ এর উৎপত্তি।
 
এসবই হয়তো কল্পনা। এদেশের মানুষের কাছে ইসলাম ধর্মকে প্রচার করতে গিয়ে হয়তো এরকমই কোন পন্থার আশ্রয় নিয়েছিলেন সেদিনের ধর্ম প্রচারকেরা। হয়তো একইভাবে শবে বরাতে হালুয়া রুটি বিতরণ মসজিদে মসজিদে নামাজ পড়া এসব প্রথা তৈরি হয়েছিল। আর এখানেই মনে হয় এ অঞ্চলের মানুষের সামাজিকতার সৌন্দর্য।

ফেসবুক মন্তব্য

রিফাত জামিল ইউসুফজাই

জাতিতে বাঙ্গালী, তবে পূর্ব পূরুষরা নাকি এসেছিলো আফগানিস্তান থেকে - পাঠান ওসমান খানের নেতৃত্বে মোঘলদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে। লড়াই এ ওসমান খান নিহত এবং তার বাহিনী পরাজিত ও পর্যূদস্ত হয়ে ছড়িয়ে পড়ে টাঙ্গাইলের ২২ গ্রামে। একসময় কালিহাতি উপজেলার চারাণ গ্রামে থিতু হয় তাদেরই কোন একজন। এখন আমি থাকি বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায়। কোন এককালে শখ ছিলো শর্টওয়েভ রেডিও শোনা। প্রথম বিদেশ ভ্রমণে একমাত্র কাজ ছিলো একটি ডিজিটাল রেডিও কেনা। ১৯৯০ সালে ষ্টকহোমে কেনা সেই ফিলিপস ডি ২৯৩৫ রেডিও এখনও আছে। দিন-রাত রেডিও শুনে রিসেপশন রিপোর্ট পাঠানো আর QSL কার্ড সংগ্রহ করা - নেশার মতো ছিলো সেসময়। আস্তে আস্তে সেই শখ থিতু হয়ে আসে। জায়গা নেয় ছবি তোলা। এখনও শিখছি এবং তুলছি নানা রকম ছবি। কয়েক মাস ধরে শখ হয়েছে ক্র্যাফটিং এর। মূলত গয়না এবং নানা রকম কার্ড তৈরী, সাথে এক-আধটু স্ক্র্যাপবুকিং। সাথে মাঝে মধ্যে ব্লগ লেখা আর জাবর কাটা। এই নিয়েই চলছে জীবন বেশ।