মোবাইল নিবন্ধন

মাস দুই আগে নতুন মোবাইল নিতে হলো। আগের মোবাইলে ব্যাটারি সংক্রান্ত একটা সমস্যা দেখা দিয়েছিলো। তাছাড়া ঐ মোবাইল সেটের RAM / ROM বেশ কম থাকায় প্রয়োজনীয় এপস ব্যবহার করতে পারতাম না। 

মোবাইল কেনার পর প্রথম যে ঘাপলা হলো সেটা আমার ব্যাংকের এপ নিয়ে। বেসরকারী ব্যাংকের এপটি মোটামুটি সহজেই তাদের হটলাইনে যোগাযোগ করে কর্মক্ষম করে তোলা গেলো। কিন্তু সরকারী ব্যাংকের এপটি আর কাজ করলো না। শাখায় যোগাযোগ করে মোবাইল সেট বাইন্ড করে আনার পরও কাজ করে নাই। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা সমস্যার সমাধানও  দিতে পারলেন না। 

এদিকে বিটিআরসি’র ডেটাবেসে মোবাইল ফোনটির IMEI পাওয়া গেলো না। অথচ এটি অফিসিয়াল ফোন জেনেই কিনেছিলাম। পরে ফেসবুকে এক গ্রুপে সমস্যা পোষ্ট করার পর এক ভদ্রলোক নানা ভাবে সাহায্য করা চেষ্টা করলেন। কোনটাই অবশ্য কাজ করছিলো। না। পরে তিনি বিটিআরসি’র একটা লিংক দিলেন। দ্বিতীয় পদ্ধতি অনুসরন করার পরদিনই আমার ফোনের IMEI পাওয়া গেলো ডেটাবেসে। এরপর ব্যাংকের হটলাইনে কথা বলার পর তারাই বাকি কাজ করে দিলেন। শাখার কর্মকর্তার চাইতে হটলাইনে অনেক বেশী সার্ভিস পেলাম। 

যাই হোক। আপনার ফোনের IMEI বিটিআরসি ডেটাবেসে আছে কিনা জানার জন্য KYD (space) 15 digit IMEI লিখে 16002 নাম্বারে পাঠিয়ে দিন। ফিরতি এসএমএস এ ফলাফল পেয়ে যাবেন।

যদি ডেটাবেস এ IMEI পাওয়া না যায় তবে এভাবে চেষ্টা করে দেখতে পারেন

ধাপ ১ – মোবাইল হ্যান্ডসেটটির ডায়াল অপশনে গিয়ে *১৬১৬১# নম্বরে ডায়াল করুন।
ধাপ ২ – স্ক্রিনে প্রদর্শিত অপশন হতে Status Check অপশন সিলেক্ট করুন।
ধাপ ৩ – একটি অটোমেটিক বক্স আসবে, সেখানে মোবাইল হ্যান্ডসেটটির ১৫ ডিজিটের IMEI নম্বরটি লিখে প্রেরণ করুন।
ধাপ ৪ – হ্যাঁ অথবা না অপশন সম্বলিত একটি অটোমেটিক বক্স আসবে; নিশ্চিত করার জন্য হ্যাঁ Select করুন।
ধাপ ৫ – স্বয়ংক্রিয়ভাবে তাৎক্ষনিক ফিরতি মেসেজ এর মাধ্যমে মোবাইল হ্যান্ডসেটটির হালনাগাদ জানানো হবে। 

বিস্তারিত পাবেন এই লিঙ্ক

ভাল থাকুন নিরন্তর।

ফেসবুক মন্তব্য

রিফাত জামিল ইউসুফজাই

জাতিতে বাঙ্গালী, তবে পূর্ব পূরুষরা নাকি এসেছিলো আফগানিস্তান থেকে - পাঠান ওসমান খানের নেতৃত্বে মোঘলদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে। লড়াই এ ওসমান খান নিহত এবং তার বাহিনী পরাজিত ও পর্যূদস্ত হয়ে ছড়িয়ে পড়ে টাঙ্গাইলের ২২ গ্রামে। একসময় কালিহাতি উপজেলার চারাণ গ্রামে থিতু হয় তাদেরই কোন একজন। এখন আমি থাকি বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায়। কোন এককালে শখ ছিলো শর্টওয়েভ রেডিও শোনা। প্রথম বিদেশ ভ্রমণে একমাত্র কাজ ছিলো একটি ডিজিটাল রেডিও কেনা। ১৯৯০ সালে ষ্টকহোমে কেনা সেই ফিলিপস ডি ২৯৩৫ রেডিও এখনও আছে। দিন-রাত রেডিও শুনে রিসেপশন রিপোর্ট পাঠানো আর QSL কার্ড সংগ্রহ করা - নেশার মতো ছিলো সেসময়। আস্তে আস্তে সেই শখ থিতু হয়ে আসে। জায়গা নেয় ছবি তোলা। এখনও শিখছি এবং তুলছি নানা রকম ছবি। কয়েক মাস ধরে শখ হয়েছে ক্র্যাফটিং এর। মূলত গয়না এবং নানা রকম কার্ড তৈরী, সাথে এক-আধটু স্ক্র্যাপবুকিং। সাথে মাঝে মধ্যে ব্লগ লেখা আর জাবর কাটা। এই নিয়েই চলছে জীবন বেশ।