মোবাইল বিভ্রাট

১.
শনিবার সকাল। চিন্তা করছিলাম মোবাইল আনতে কখন যাব। নাস্তা করে অনলাইনে নিউজ দেখছিলাম। ১০:৩০ এর দিকে ফোন আসলো সার্ভিস সেন্টার থেকে। জানালো মোবাইল ডেলিভারীর জন্য রেডি। জানালাম কিছুক্ষণ পর নিতে আসবো।

এদিকে আবার টিপটিপ করে বৃষ্টি হচ্ছে। শুক্রবার সারা রাত আর শনিবার সকালেও ঝুম বৃষ্টি হয়েছে। আরো বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা আছে। আমি টিপটিপ বৃষ্টির মধ্যেই রওনা দিলাম। আজ আর হেটে না, রিক্সাতেই গেলাম ৯ নাম্বার সেক্টরের ভিতর দিয়ে, আবদুল্লাহপুর এর কাছাকাছি গিয়ে নামলাম। এরপর হেটে পণওয়েল মার্কেট। 

এরপর যথারীতি মোবাইল ডেলিভারী নিয়ে বাসায় আসলাম। সব কিছুই ঠিক মতো আছে। 

২. 
আমার যে ইনফিনিক্স স্মার্ট ২ প্রো ফোন ছিলো, আগের দিন সেটাও সাথে করে নিয়ে গিয়েছিলাম। ইনফিনিক্স এর সার্ভিস সেন্টারও পলওয়েল মার্কেটে ছিলো। এটা ঠিক কররে রাখলে হয়তো ব্যাকআপ হিসেবে কাজ দিবে। সার্ভিস সেন্টার থেকে জানানো হলো এটা অনেক পুরাতন মডেল। এর ব্যাটারী পাওয়া যায় না। তবে উনি বললেন পরদিন একটু খোঁজ নিতে। যদি পাওয়া যায়। বাসায় এসে চার্জ দেয়ার পর টেষ্ট করতে গিয়ে দেখি এর টাচ স্ক্রিণ ঠিকমতো কাজ করছে না। চিন্তা করলাম কত টাকা লাগে কে জানে, এটা ঠিক করা বুদ্ধিমানের কাজ হবে না। শাউমি রেডমি নোট ৮ই আপাতত ব্যাকআপ ফোন হিসেবে থাকবে। 

৩.
শাউমির ফোন সার্ভিস সেন্টারে দেয়ার আগে ফ্যাক্টরি রিসেট দিয়েছিলাম। কারণ এই ফোনে দরকারী সব এপ যেমন ব্যাংক, শেয়ার এর এপ ইত্যাদি ছিলো। রিসেট দেয়ার আগে সবকিছু গুগল এ ব্যাকআপ রেখেছিলাম। এবার রিয়েলমি ফোন সেটআপ দিলাম এই ব্যাকআপ থেকে। সবকিছু ঠিকমতোই ছিলো। এক ব্যাংকের এপ নতুন করে ডিভাইস রেজিষ্ট্রেশন করতে হলো। অন্য ব্যাংক এর এপটি প্রব করলো। এর জন্য আবার ব্র্যাঞ্চে যেতে হবে। 

ভাল থাকুন নিরন্তর।

Photo by Omid Armin on Unsplash

ফেসবুক মন্তব্য

রিফাত জামিল ইউসুফজাই

জাতিতে বাঙ্গালী, তবে পূর্ব পূরুষরা নাকি এসেছিলো আফগানিস্তান থেকে - পাঠান ওসমান খানের নেতৃত্বে মোঘলদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে। লড়াই এ ওসমান খান নিহত এবং তার বাহিনী পরাজিত ও পর্যূদস্ত হয়ে ছড়িয়ে পড়ে টাঙ্গাইলের ২২ গ্রামে। একসময় কালিহাতি উপজেলার চারাণ গ্রামে থিতু হয় তাদেরই কোন একজন। এখন আমি থাকি বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায়। কোন এককালে শখ ছিলো শর্টওয়েভ রেডিও শোনা। প্রথম বিদেশ ভ্রমণে একমাত্র কাজ ছিলো একটি ডিজিটাল রেডিও কেনা। ১৯৯০ সালে ষ্টকহোমে কেনা সেই ফিলিপস ডি ২৯৩৫ রেডিও এখনও আছে। দিন-রাত রেডিও শুনে রিসেপশন রিপোর্ট পাঠানো আর QSL কার্ড সংগ্রহ করা - নেশার মতো ছিলো সেসময়। আস্তে আস্তে সেই শখ থিতু হয়ে আসে। জায়গা নেয় ছবি তোলা। এখনও শিখছি এবং তুলছি নানা রকম ছবি। কয়েক মাস ধরে শখ হয়েছে ক্র্যাফটিং এর। মূলত গয়না এবং নানা রকম কার্ড তৈরী, সাথে এক-আধটু স্ক্র্যাপবুকিং। সাথে মাঝে মধ্যে ব্লগ লেখা আর জাবর কাটা। এই নিয়েই চলছে জীবন বেশ।