ষ্ট্রীট ফটোগ্রাফি

আমি নিজে ষ্ট্রীট ফটোগ্রাফিতে খূব একটা সহজ সাবলিল না। বেশীর ভাগ সময় দেখা যায় মোমেন্ট মিস করি। তারপর ঢাকার রাস্তায় এতো এতো মানুষজন আর গাড়ী, সাথে আরো কত কি। ফলে সাবজেক্টকে আলাদা করে তোলার কাজে আমি একেবারেই অপটু। সেই সাথে আছে সবকিছু ট্যাক শার্প করার প্রবণতা। ফলে ষ্ট্রীট ফটোগ্রাফি কেবলই ছবি একটা আমার বেলায়।

ইদানিং এই ষ্ট্রীট ফটোগ্রাফি নিয়ে একটু পড়াশোনা করছি। জানতে চেষ্টা করছি অন্যেরা কি ভাবে কি ছবি তুলছে। সেই সাথে বিখ্যাত ষ্ট্রীট ফটোগ্রাফারদের কাজ দেখা এবং বুঝার চেষ্টা করছি। এভাবেই কোন এক ভিডিও’তে জানলাম Saul Leiter এর কথা। ভদ্রলোকের জন্ম ১৯২৩ সালে এক ইহুদি পরিবারে। মৃত্যু ২০১৩ সালে। তাঁর কাজ সম্পর্কে যতই জানছি, আরো বেশী জানার স্পৃহা তৈরী হচ্ছে। তাঁর ষ্ট্রীট ফটোগ্রাফির ছবিগুলো কিন্তু মোটেই শার্প না। বেশীর ভাগ সময় তিনি ছবি তুলেছেন কাঁচের ভিতর দিয়ে অথবা কোন প্রতিবিম্ব। সাথে আছেে সিল্যুয়েট। সবই কেমন ঝাঁপসা, অস্পষ্ট। সরাসরি কারো চেহারা দেখান না। আমি রীতিমতো অবাক তাঁর কাজ দেখে। 

ভাবতেছি তাঁর মতো করে কিছু ছবি তোলার চেষ্টা করবো। 

তাঁর সম্পর্কে জানতে এই সাইট ফলো করতে পারে।

যে ভিডিও দেখে অনুপ্রাণিত হয়েছিলাম।

ছবি : নিজের তোলা

 

 

ফেসবুক মন্তব্য

রিফাত জামিল ইউসুফজাই

জাতিতে বাঙ্গালী, তবে পূর্ব পূরুষরা নাকি এসেছিলো আফগানিস্তান থেকে - পাঠান ওসমান খানের নেতৃত্বে মোঘলদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে। লড়াই এ ওসমান খান নিহত এবং তার বাহিনী পরাজিত ও পর্যূদস্ত হয়ে ছড়িয়ে পড়ে টাঙ্গাইলের ২২ গ্রামে। একসময় কালিহাতি উপজেলার চারাণ গ্রামে থিতু হয় তাদেরই কোন একজন। এখন আমি থাকি বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায়। কোন এককালে শখ ছিলো শর্টওয়েভ রেডিও শোনা। প্রথম বিদেশ ভ্রমণে একমাত্র কাজ ছিলো একটি ডিজিটাল রেডিও কেনা। ১৯৯০ সালে ষ্টকহোমে কেনা সেই ফিলিপস ডি ২৯৩৫ রেডিও এখনও আছে। দিন-রাত রেডিও শুনে রিসেপশন রিপোর্ট পাঠানো আর QSL কার্ড সংগ্রহ করা - নেশার মতো ছিলো সেসময়। আস্তে আস্তে সেই শখ থিতু হয়ে আসে। জায়গা নেয় ছবি তোলা। এখনও শিখছি এবং তুলছি নানা রকম ছবি। কয়েক মাস ধরে শখ হয়েছে ক্র্যাফটিং এর। মূলত গয়না এবং নানা রকম কার্ড তৈরী, সাথে এক-আধটু স্ক্র্যাপবুকিং। সাথে মাঝে মধ্যে ব্লগ লেখা আর জাবর কাটা। এই নিয়েই চলছে জীবন বেশ।