হিটস্ট্রোক

কিছুৃদিন ধরেই প্রচন্ড গরম পড়েছে। বাইরের তাপমাত্রা ৩৮-৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত উঠানামা করছে। এবারের এই গরমে একটা বিষয় লক্ষণীয় ছিলো, সেটা হলো প্রচন্ড গরম কিন্তু আর্দ্রতা কম থাকায় ঘাম কম হচ্ছিলো। পরে অবশ্য আর্দ্রতা বাড়ায় ভ্যাপসা গরম বোধ হচ্ছিলো এবং প্রচুর ঘাম হয়ে শরীর দূর্বল লাগছিলো। প্রচন্ড গরমে হিটস্ট্রোক হতে পারে, বিশেষ করে শিশু এবং বৃদ্ধদের। দৈনিক পত্রিকার খবরে জানা গেছে ২ শিশু এই গরমে হিটস্ট্রোক করে মারা গেছে। একজন বিদ্যালয়ে ক্লাস করার সময় অন্যজন বিকালে ফুটবল খেলার সময়। তাই এসময় সাধারণ কিছু নিয়ম কানুন মেনে চললে এই হিটস্ট্রোক এড়ানো সম্ভব।

ক. হিটস্ট্রোকের লক্ষণ
প্রচুর ঘাম
শরীরে অতিরিক্ত তাপমাত্রা
মাথা ব্যথা ও মাথা ঘুরানো
পেশীতে ব্যথা
চেতনা হারানো

খ. হিটস্ট্রোকের প্রতিকার
পর্যাপ্ত পানি এবং তরল খাবার গ্রহণ
বাহিরে রৌদ্রে কম যাওয়া
রৌদ্রে ছাতা ব্যবহার করা
পাতলা, হালকা রং এর সুতির কাপড় পরিধান

গ. হিটস্ট্রোক হলে করণীয়
হিটস্ট্রোকের লক্ষণ দেখা দিলে ঐ ব্যক্তিকে দ্রুত ছায়াযুক্ত শীতল স্থানে নিয়ে যাওয়া
শরীর থেকে অতিরিক্ত কাপড় / পোষাক সরিয়ে ফেলা
ঠান্ডা পানি দিয়ে শরীর ভেজানো
শীতল বাতাস সঞ্চালন
মাথা, গলা, বগল বরফ দিয়ে ভেজানো

প্রয়োজনে ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া অথবা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া

সাবধানে থাকুন, সুস্থ্য থাকুন


 

ফেসবুক মন্তব্য

রিফাত জামিল ইউসুফজাই

জাতিতে বাঙ্গালী, তবে পূর্ব পূরুষরা নাকি এসেছিলো আফগানিস্তান থেকে - পাঠান ওসমান খানের নেতৃত্বে মোঘলদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে। লড়াই এ ওসমান খান নিহত এবং তার বাহিনী পরাজিত ও পর্যূদস্ত হয়ে ছড়িয়ে পড়ে টাঙ্গাইলের ২২ গ্রামে। একসময় কালিহাতি উপজেলার চারাণ গ্রামে থিতু হয় তাদেরই কোন একজন। এখন আমি থাকি বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায়। কোন এককালে শখ ছিলো শর্টওয়েভ রেডিও শোনা। প্রথম বিদেশ ভ্রমণে একমাত্র কাজ ছিলো একটি ডিজিটাল রেডিও কেনা। ১৯৯০ সালে ষ্টকহোমে কেনা সেই ফিলিপস ডি ২৯৩৫ রেডিও এখনও আছে। দিন-রাত রেডিও শুনে রিসেপশন রিপোর্ট পাঠানো আর QSL কার্ড সংগ্রহ করা - নেশার মতো ছিলো সেসময়। আস্তে আস্তে সেই শখ থিতু হয়ে আসে। জায়গা নেয় ছবি তোলা। এখনও শিখছি এবং তুলছি নানা রকম ছবি। কয়েক মাস ধরে শখ হয়েছে ক্র্যাফটিং এর। মূলত গয়না এবং নানা রকম কার্ড তৈরী, সাথে এক-আধটু স্ক্র্যাপবুকিং। সাথে মাঝে মধ্যে ব্লগ লেখা আর জাবর কাটা। এই নিয়েই চলছে জীবন বেশ।