মিররলেস ক্যামেরা

মিররলেস ক্যামেরা হলো একটি অত্যাধুনিক ডিজিটাল ক্যামেরা, যা DSLR ক্যামেরার মতোই ছবি তোলা এবং ভিডিও করার ক্ষমতা রাখে, তবে এতে কোনো রিফ্লেক্স মিরর থাকে না। DSLR ক্যামেরায় একটি রিফ্লেক্স মিরর থাকে যা লাইটকে অপটিক্যাল ভিউফাইন্ডারে প্রতিফলিত করে, কিন্তু মিররলেস ক্যামেরায় এটি নেই। এর ফলে ক্যামেরা ছোট, হালকা এবং দ্রুত শাটারের সুবিধা প্রদান করতে পারে।

মিররলেস ক্যামেরার বৈশিষ্ট্য:

  • মিররবিহীন ডিজাইন: এতে কোনো মিরর নেই, তাই ক্যামেরাটি ছোট এবং হালকা।
  • ইলেকট্রনিক ভিউফাইন্ডার (EVF): DSLR-এর মতো অপটিক্যাল ভিউফাইন্ডারের পরিবর্তে এতে ইলেকট্রনিক ভিউফাইন্ডার থাকে। যা আপনাকে সেন্সর থেকে সরাসরি ছবি প্রদর্শন করে।
  • ফাস্ট অটোফোকাস: মিররলেস ক্যামেরা কনট্রাস্ট ডিটেকশন অটোফোকাস পদ্ধতি ব্যবহার করে, যা দ্রুত এবং নির্ভুলভাবে ফোকাস করতে পারে।
  • ইন্টারচেঞ্জেবল লেন্স: DSLR-এর মতোই মিররলেস ক্যামেরায়ও লেন্স পরিবর্তন করা যায়।
  • ভালো ভিডিও পারফরম্যান্স: অনেক মিররলেস ক্যামেরা উন্নত ভিডিও রেকর্ডিং ক্ষমতা সহ আসে, যেমন 4K ভিডিও শুট করার ক্ষমতা।
  • কম্প্যাক্ট এবং পোর্টেবল: মিররলেস ক্যামেরা সাধারণত DSLR-এর তুলনায় ছোট, তাই সহজেই বহন করা যায়।

মিররলেস ক্যামেরার কিছু সুবিধা:

  • হালকা এবং ছোট হওয়ায় সহজে বহনযোগ্য।
  • ইলেকট্রনিক ভিউফাইন্ডার থাকায় আপনি ঠিক কী ছবি তুলতে যাচ্ছেন, তা আগেই দেখতে পারেন।
  • দ্রুত শুটিং এবং ভিডিও রেকর্ডিং-এর জন্য বেশ ভালো।

কিছু সীমাবদ্ধতা:

  • ব্যাটারি লাইফ তুলনামূলকভাবে কম, কারণ ইলেকট্রনিক ভিউফাইন্ডার সব সময় সক্রিয় থাকে।
  • কিছু ক্ষেত্রে অটোফোকাসের পারফরম্যান্স DSLR-এর মতো দ্রুত না হতে পারে, যদিও প্রযুক্তির উন্নতির সাথে এই বিষয়টি উন্নত হচ্ছে।

আপনি যদি ছবি তোলার জন্য উচ্চমানের ক্যামেরা চান, তবে মিররলেস ক্যামেরা একটি দারুণ বিকল্প।

ফেসবুক মন্তব্য

রিফাত জামিল ইউসুফজাই

জাতিতে বাঙ্গালী, তবে পূর্ব পূরুষরা নাকি এসেছিলো আফগানিস্তান থেকে - পাঠান ওসমান খানের নেতৃত্বে মোঘলদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে। লড়াই এ ওসমান খান নিহত এবং তার বাহিনী পরাজিত ও পর্যূদস্ত হয়ে ছড়িয়ে পড়ে টাঙ্গাইলের ২২ গ্রামে। একসময় কালিহাতি উপজেলার চারাণ গ্রামে থিতু হয় তাদেরই কোন একজন। এখন আমি থাকি বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায়। কোন এককালে শখ ছিলো শর্টওয়েভ রেডিও শোনা। প্রথম বিদেশ ভ্রমণে একমাত্র কাজ ছিলো একটি ডিজিটাল রেডিও কেনা। ১৯৯০ সালে ষ্টকহোমে কেনা সেই ফিলিপস ডি ২৯৩৫ রেডিও এখনও আছে। দিন-রাত রেডিও শুনে রিসেপশন রিপোর্ট পাঠানো আর QSL কার্ড সংগ্রহ করা - নেশার মতো ছিলো সেসময়। আস্তে আস্তে সেই শখ থিতু হয়ে আসে। জায়গা নেয় ছবি তোলা। এখনও শিখছি এবং তুলছি নানা রকম ছবি। কয়েক মাস ধরে শখ হয়েছে ক্র্যাফটিং এর। মূলত গয়না এবং নানা রকম কার্ড তৈরী, সাথে এক-আধটু স্ক্র্যাপবুকিং। সাথে মাঝে মধ্যে ব্লগ লেখা আর জাবর কাটা। এই নিয়েই চলছে জীবন বেশ।