অনলাইন রেডিও

কোন এককালে রেডিও শুনতাম পাগলের মতো। এখনও শুনি তবে আগের সেই উন্মাদনা আর নাই। আগে যেমন দিন নাই, রাত নাই খেয়ে, না খেয়ে রেডিও’র নব ঘুরাতাম এখন অবশ্য তেমন করি না। সেসময় টিভি ছিলো, এখনও আছে। তবে সথে আরো অনেক কিছু যোগ হয়েছে। যেমন স্যাটেলাইট / ক্যাবল টিভি, ইন্টারনেট / সোশ্যাল মিডিয়া। বস্তুত ইন্টারনেট / সোশ্যাল মিডিয়াই আমাদের যাপিত জীবনের সাথে ওতোপ্রোত ভাবে জড়িয়ে গেছে।
 
এখন অনলাইনে রেডিও শোনা যায় যখন তখন। আবার এমন সব দেশের রেডিও শুনতে পারি যা বাংলাদেশে বসে রেডিও সেটে শোনা সম্ভব ছিলো না কোন ভাবেই। এই রেডিও গার্ডেন এপে সেদিন সিঙ্গাপুরের CNA938 রেডিও শুনছিলাম। এরকম শত শত রেডিও ষ্টেশন শুনতে পারি এখন। অনেকে বলেন রেডিও সেটে অনুষ্ঠান না শুনলে নাকি ভাল লাগে না। কিন্তু আমার তো মনে হয় অনলাইনে রেডিও শোনার মজা অন্যরকম। পরিস্কার শব্দ, সিগনালের কোন উঠানামা নেই (নেট স্লো হলে অবশ্য থেমে থেমে শোনা যায়) প্রতিটি বাক্য, গান মনে হয় স্থানীয় রেডিও ষ্টেশনই শুনছি।
 
তবে যারা রেডিও ডিএক্সইং করেন তাদের কথা আলাদা। শত শত মাইল দুরের কোন রেডিও ষ্টেশনের দূর্বল সিগনাল ধরতে পারা নতুন কোন দেশ / মহাদেশ আবিস্কারের মতোই উত্তেজনার। পরে আবার রিসেপশন রিপোর্ট পাঠিয়ে QSL Card পাওয়ার মজা তো আছেই।

CNA938 শুনতে পারবেন এই লিঙ্কে

ফেসবুক মন্তব্য

রিফাত জামিল ইউসুফজাই

জাতিতে বাঙ্গালী, তবে পূর্ব পূরুষরা নাকি এসেছিলো আফগানিস্তান থেকে - পাঠান ওসমান খানের নেতৃত্বে মোঘলদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে। লড়াই এ ওসমান খান নিহত এবং তার বাহিনী পরাজিত ও পর্যূদস্ত হয়ে ছড়িয়ে পড়ে টাঙ্গাইলের ২২ গ্রামে। একসময় কালিহাতি উপজেলার চারাণ গ্রামে থিতু হয় তাদেরই কোন একজন। এখন আমি থাকি বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায়। কোন এককালে শখ ছিলো শর্টওয়েভ রেডিও শোনা। প্রথম বিদেশ ভ্রমণে একমাত্র কাজ ছিলো একটি ডিজিটাল রেডিও কেনা। ১৯৯০ সালে ষ্টকহোমে কেনা সেই ফিলিপস ডি ২৯৩৫ রেডিও এখনও আছে। দিন-রাত রেডিও শুনে রিসেপশন রিপোর্ট পাঠানো আর QSL কার্ড সংগ্রহ করা - নেশার মতো ছিলো সেসময়। আস্তে আস্তে সেই শখ থিতু হয়ে আসে। জায়গা নেয় ছবি তোলা। এখনও শিখছি এবং তুলছি নানা রকম ছবি। কয়েক মাস ধরে শখ হয়েছে ক্র্যাফটিং এর। মূলত গয়না এবং নানা রকম কার্ড তৈরী, সাথে এক-আধটু স্ক্র্যাপবুকিং। সাথে মাঝে মধ্যে ব্লগ লেখা আর জাবর কাটা। এই নিয়েই চলছে জীবন বেশ।