অসুস্থতা

চারিদিকে কেবল অসুস্থতার খবর
 
১. বুয়েট থেকে পাশ করে কোন এক প্রাইভেট ইউনি’তে লেকচারার হিসেব জয়েন করেছে মেয়েটি। পারিবারিক ভাবে বিয়ে (আকদ) ও হয়েছে সম্প্রতি। হঠাৎ করে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হতে হলো। জানা গেলো ওভারিয়ান ক্যান্সারে আক্রান্ত। এপর্যন্ত ৫টি কেমোথেরাপি দেয়া হয়েছে। মেয়ের বাবা বেইলী স্কয়ারে আমাদের প্রতিবেশী ছিলো।
 
২. স্কুলের বন্ধু। ডায়বেটিস ছিলো। গত নভেম্বরে হঠাৎ করেই সুগার বেড়ে গিয়ে হার্ট এটাক হয়। সাথে সাথেই হাসপাতালে এবং এনজিওগ্রাম। একটি রিং (ষ্টেন্ট) লেগেছে। এখন মোটামুটি ভালই আছে।
 
৩. প্রবাসী ছেলে সন্তানের পিতা হয়েছে আবার। দেশে তার বাবার ঠান্ডা লেগে খূবই খারাপ অবস্থা। এখন ভেন্টিলেটর ব্যবহার করতে হচ্ছে। কি একটা অবস্থা।
 
ছোট-খাট ব্যথা / সর্দি-কাশি আমরা খূব সহজেই এড়িয়ে যাই। ডায়বেটিস থাকলে নিয়মিত ওজন / ব্লাড সুগার চেক করা হয় না। অথচ এই সামান্য বিষয়ই যে কালক্রমে মারাত্মক হয়ে উঠতে পারে সেটি কখনই ভাবি না।

ফেসবুক মন্তব্য

রিফাত জামিল ইউসুফজাই

জাতিতে বাঙ্গালী, তবে পূর্ব পূরুষরা নাকি এসেছিলো আফগানিস্তান থেকে - পাঠান ওসমান খানের নেতৃত্বে মোঘলদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে। লড়াই এ ওসমান খান নিহত এবং তার বাহিনী পরাজিত ও পর্যূদস্ত হয়ে ছড়িয়ে পড়ে টাঙ্গাইলের ২২ গ্রামে। একসময় কালিহাতি উপজেলার চারাণ গ্রামে থিতু হয় তাদেরই কোন একজন। এখন আমি থাকি বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায়। কোন এককালে শখ ছিলো শর্টওয়েভ রেডিও শোনা। প্রথম বিদেশ ভ্রমণে একমাত্র কাজ ছিলো একটি ডিজিটাল রেডিও কেনা। ১৯৯০ সালে ষ্টকহোমে কেনা সেই ফিলিপস ডি ২৯৩৫ রেডিও এখনও আছে। দিন-রাত রেডিও শুনে রিসেপশন রিপোর্ট পাঠানো আর QSL কার্ড সংগ্রহ করা - নেশার মতো ছিলো সেসময়। আস্তে আস্তে সেই শখ থিতু হয়ে আসে। জায়গা নেয় ছবি তোলা। এখনও শিখছি এবং তুলছি নানা রকম ছবি। কয়েক মাস ধরে শখ হয়েছে ক্র্যাফটিং এর। মূলত গয়না এবং নানা রকম কার্ড তৈরী, সাথে এক-আধটু স্ক্র্যাপবুকিং। সাথে মাঝে মধ্যে ব্লগ লেখা আর জাবর কাটা। এই নিয়েই চলছে জীবন বেশ।