আমার এক ভাগ্নে কয়েকমাস আগে মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়ে। আমরা প্রথমে শুনেছিলাম তার হার্ট এটাক হয়েছে। বয়স কম (৩০ এর নিচে) হলেও সে অসম্ভব মোটা ছিলো। পরে জানতে পারি হার্ট এটাক হয় নাই, তবে কি কারনে এমন হলো সেটা ডাক্তাররা বের করার চেষ্টা করছে। কয়েকদিন আগে বোনের কাছে শুনলাম সে এক ডাক্তারের ইউটিউব ভিডিও ফলো করে ওজন কমানোর চেষ্টা করছিলো। কোন রকম টেষ্ট / ডাক্তারের প্রত্যক্ষ সুপারভিশন ছাড়া কিটো ডায়েট করতে যাওয়া প্রচন্ডরকম রিস্কি।
বাসায় হাই ব্লাডপ্রেশার / ডায়বেটিসের রোগী আছে। অভিজ্ঞতা থেকে জানি এসব রোগীর ঔষধ বললেই বন্ধ করে দেয়া যায় না। প্রেশারের ঔষধ বন্ধ করবেন, প্রথমে কিছুই টের পাবেন না। পরে কোন একদিন দুম করে হার্ট এটাক হয়ে যাবে। আপনি যতই খাওয়া / লাইফস্টাইল চেঞ্জ করেন না কেন একটা বয়সের পর ঔষধ ছাড়া প্রেশার কন্ট্রোল সম্ভব না। ডায়বেটিসের বেলায় একই কথা। তবে বয়স হলে / হাটাচলা সীমিত হয়ে গেলে একটা বয়সে এসে খাওয়া দাওয়া কমে আসতে থাকে। তখন ইনসুলিন / ঔষধের প্রয়োজন এমনিতেই কমতে থাকে। একটা সময় পর আর লাগেই না। আমার আব্বা আম্মা দুজনের বেলাতেই এমন হয়েছে / হচ্ছে। প্রেশার বলেন আর ব্লাড সুগার বলেন, দুটোই কমে গেলে বাসায় ম্যানেজ করা অপেক্ষাকৃত সহজ। প্রেশারের কমে গেলে ডিম + অন্যান্য খাবার আর ব্লাড সুগার কমে গেলে গ্লুকোজ / মিষ্টি জাতীয় খাবার দিলেই আবার স্বাভাবিক অবস্থায় চলে আসবে বেশীর ভাগ ক্ষেত্রে। কিন্তু প্রেশার / সুগার বেড়ে গেলে বাসায় রেখে কন্ট্রোল করা যায় না। হাই প্রেশার এবং ডায়বেটিস যাদের আছে তাদের ক্ষেত্রে ঔষধ নির্বাচনও একটা কঠিন কাজ। সাথে অন্যান্য অনেক কিছুই কমে বাড়ে। তাই অসু্স্থ্য হলে ডাক্তারের পরামর্শ চলা উচিত।
ঔষধ কিনতে গেলে প্রায়শই দেখি লোকজন সেলসম্যানদের কাছে অমুক সমস্যা, তমুক সমস্যার জন্য ঔষধ চাচ্ছে। বেশীর ভাগ সেলসম্যানই ডাক্তারী করার সূযোগ হাতছাড়া করে না। গত কয়েক বছরের মধ্যে মাত্র একজনকে দেখেছি একজন ক্রেতাকে ডাক্তারের দেখিয়ে প্রেসক্রিপশন নিয়ে আসার কথা বলতে। আবার চেনা পরিচিত অনেককেই দেখেছি ভাল লাগছে বলে প্রেশার বা ডয়বেটিসের ঔষধ বন্ধ করে দিতে।
এটা ঠিক যে আমাদের দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থা মোটেও ভাল না, তারপর খরচও বেশী। এজন্যেই সাধারণ জনগন চায় জোড়াতালি দিয়ে চলতে। ফলাফল হাতে নাতে না পেলেও যে বৃদ্ধ বয়সে পাবেন সেটা নিজের আত্মীয় স্বজন অনেককে দেখে বুঝতেছি। শেষ বয়সে গিয়ে ঔষধ খেতে না চাইলে আগে সময় থাকতেই সুষম খাবার আর নিয়মিত শরীরচর্চা করার অভ্যাস গড়ে তোলা জরুরী।
ঔষধ কিনতে গেলে প্রায়শই দেখি লোকজন সেলসম্যানদের কাছে অমুক সমস্যা, তমুক সমস্যার জন্য ঔষধ চাচ্ছে। বেশীর ভাগ সেলসম্যানই ডাক্তারী করার সূযোগ হাতছাড়া করে না। গত কয়েক বছরের মধ্যে মাত্র একজনকে দেখেছি একজন ক্রেতাকে ডাক্তারের দেখিয়ে প্রেসক্রিপশন নিয়ে আসার কথা বলতে। আবার চেনা পরিচিত অনেককেই দেখেছি ভাল লাগছে বলে প্রেশার বা ডয়বেটিসের ঔষধ বন্ধ করে দিতে।
এটা ঠিক যে আমাদের দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থা মোটেও ভাল না, তারপর খরচও বেশী। এজন্যেই সাধারণ জনগন চায় জোড়াতালি দিয়ে চলতে। ফলাফল হাতে নাতে না পেলেও যে বৃদ্ধ বয়সে পাবেন সেটা নিজের আত্মীয় স্বজন অনেককে দেখে বুঝতেছি। শেষ বয়সে গিয়ে ঔষধ খেতে না চাইলে আগে সময় থাকতেই সুষম খাবার আর নিয়মিত শরীরচর্চা করার অভ্যাস গড়ে তোলা জরুরী।
ফেসবুক মন্তব্য