ছোট্ট এই মানুষটাকে প্রায়ই দেখি, উত্তরা জসিমউদ্দিন মোর আর রাজলক্ষীর মাঝে কোথাও না কোথাও থাকে। আজ যেমন ছিলো জসিমউদ্দিন মোর এর কাছে বাটা দোকানের সামনের ফুটপাতে। দাঁড়ানো অবস্থায় কোনদিন দেখি নাই, খূব বেশী হলে ২.৫ ফিট উচ্চতা হবে। প্রথম যেদিন দেখেছিলাম তখন বেশ হালকা-পাতলা ছিলো। তবে তার হাসিটা বেশ চমৎকার। দেখা হলেই হাসি দিয়ে একটা সালাম দেয়।
আজ দেখা হওয়ার পর জিজ্ঞাসা করলাম একটা ছবি তুলি। হেসেই মাথা নেড়ে সায় দিলো। ছবি তোলার পর জিজ্ঞাসা করলো আমি সাংবাদিক কিনা। না বলতেই দেখি মুখটা কালো হয়ে গেলো। আস্তে করে বললো অনেক ভাবে চেষ্টা করার পরও নাকি প্রতিবন্ধী ভাতা পাওয়ার কোন রাস্তা বের করতে পারে নাই। এখন আর এভাবে পথে-ঘাটে বসে থেকে মানুষের কাছে হাত পাততে ভাল লাগে না। ভাতা পেলে হয়তো কিছুটা উপকার হতো।
আমার মনটাও খারাপ হয়ে গেলো। আমার কি সাধ্য তাকে সাহায্য করি। চলতি পথে সামান্য কিছু দিতে পারি। আর প্রতিবন্ধি ভাতাও তো পরিমানে এমন বিশাল কিছু না। বললাম এলাকার কাউন্সিলর / মেম্বারদের সাথে যোগাযোগ করতে। করেছিলো, কিন্তু কোন কাজ হয়নি। তারা কেবল পরে আসতে বলে।
উত্তরায় কখনও যদি তাকে পান, সম্ভব হলে কিছু সাহায্য করবেন আশা করি। তার নাম মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম।
ফেসবুক মন্তব্য