সোয়াপ তো অনেক কিছুই করা যায়, ষ্ট্যাম্প থেকে শুরু করে কয়েন সহ আরো নানা কিছু। একই টাইপ একাধিক জিনিস থাকলেই যে কেউ অন্যের সাথে বদল করে নতুন আরেকটি ষ্ট্যাম্প, কয়েন ইত্যাদি নিজের সংগ্রহে নিয়ে আসতে পারেন। বালক বেলায় তাই পশ্চিমা দুনিয়ায় ওয়াইফ মানে নিজের স্ত্রী সোয়াপ মানে অন্যের স্ত্রী’র সাথে বদলের কথা শুনে প্রথমে খূব অবাক হয়েছিলাম। পরে চিন্তা করলাম সেক্স যেখানে ট্যাবু না সেখানে অনেক কিছুই ঘটা সম্ভব।
ইউটিউবে নানা রকম সিরিজ খোঁজ করতে গিয়ে গিয়ে ওয়াইফ সোয়াপ সিরিজ দেখে তাই একটু নড়ে-চড়ে বসতে হলো। একটা এপিসোড দেখা শুরু করে দিলাম অবশেষে। কিছু সময় দেখার পর বুঝলাম এটা ঠিক বালক বেলায় শোনা ওয়াইফ সোয়াপ এর মতো না। এটি করা হয় মূলত এক একটি পরিবারের নিজেদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্য। সেই সাথে নিজের লাইফ ষ্টাইলে ভাল-মন্দগুলো খূঁজে বের করা আর শেয়ার করার জন্য।
এই ওয়াইফ সোয়াপে একটি পরিবারের মা ৭-১০ দিনের জন্য আরেকটি পরিবারে যান, সেই পরিবারের মা’ও চলে আসেন প্রথম পরিবারে। প্রথমে থাকে পরিবারের সদস্যদের সাথে পরিচয়, তারা কিভাবে জীবন-যাপন করে সেটা সম্পর্কে জানা। এরপর নতুন মা তার মতো করে সেই পরিবারটি পরিচালনা করার চেষ্টা করেন। পরিবারের সদস্যরাও তাকে ফলো করার চেষ্টা করেন। অনেক সময় পরিবারের সদস্যরা খূব সহজেই নতুন নিয়ম-কানুনে অভ্যস্ত হয়ে যান, কখনও প্রবল বিরোধীতা করেন। আবার অনেক সময় বিপরীত চিন্তাধারার কারণে কেউ কেউ ব্যাপক উত্তেজিত হয়ে পড়েন। আরো একটি বিষয় আছে এখানে। প্রতিজন (মা/স্ত্রী) ৫০ হাজার ডলার পান তার সেই নতুন পরিবারকে দেয়ার জন্য, তিনিই ঠিক করে দেন পরিবারের কোন সদস্য কত করে পাবেন এবং কি খাতে খরচ করবেন সেটা।
সব মিলিয়ে বেশ মজাই লাগছিলো নতুর ধরণের এই সিরিজ। তবে ৩/৪টি এপিসোড দেখার পর আমার মনে হচ্ছে নাম ‘ওয়াইফ সোয়াপ’ না হয়ে ‘মাদার সোয়াপ’ হলেই বেশী যুক্তিযুক্ত হতো।
ইউটিউবে ওয়াইফ সোয়াপ সিরিজ এবং ট্রেডিং স্পাউসেস এর বিভিন্ন পর্ব
কোন এক পর্বের শেষাংশ (নিজের বাসায় ফিরে একজন মা এর চরম উত্তেজনা) মূল পর্ব
ফেসবুক মন্তব্য