ইউটিউবার

গতকাল (জানুয়ারি ৯,২০২৫) বিকালে হাটতে হাটতে গিয়েছিলাম দলিপাড়া / বাউনিয়ার কাছে, রানওয়ের পিছনে। উত্তরার কাছে / ভিতরে যে কয়টি জায়গায় প্রায় নিয়মিত হাটতে যাওয়া হয় তার মধ্যে এই জায়গাটি অন্যতম। কখনও প্লেনের ল্যান্ডিং এবং মানুষজন দেখে ফিরে আসি, কখনও চটপটি / ফুচকা খাই আর ক্যামেরা নিয়ে গেলে ছবি তুলি / ভিডিও করি।
 
টুকটাক ছবি তোলার ফাঁকে খেয়াল করলাম একজন মোবাইল দিয়ে ভিডিও করছে। কিছুক্ষণ পর আমার কাছে এসে ক্যামেরায় তোলা ছবি দেখতে চাইলেন। দেখালাম, ছবি দেখে জানতে চাইলেন ভিডিও করেন নাই। বললম মোবাইলে করেছি। এরপরের প্রশ্ন ফেসবুক / ইউটিউবে দেন না। বললাম টুকটাক দেই। আমি এবার জিজ্ঞাসা করলাম আপনি ভিডিও করছেন দেখলাম। কি করবেন। তার উত্তর হলো ইউটিউবে আপলোড করবেন। তার ২টা চ্যানেল আছে। এরপর নিজেই অদুরে এক গাড়ি দেখিয়ে বললেন তিনি এই গাড়ি চালান, চাকরি। বস কোথাও গেলে এরকম ছোট ছোট ভিডিও করে আপলোড করেন।
 
আমাকেও তিনি সাজেশন দিলেন নিয়মিত ফেসবুক ইউটিউবে আপলোড করার। একবার ভাইরাল হলে নাকি টাকা আসা শুরু করবে। তার কথা হলো চাকরি করে আর কয় টাকা আসে। তিনি ও সেই সুদিনের আশায় আছেন যখন তার চ্যানেল গুলো থেকে ভাল আয় করতে পারবেন। ভিডিও করতে গেলে আমার হাত কাঁপে শুনে বললেন ক্যাপকাট ব্যবহার করতে, সেটা দিয়ে কাঁপাকাঁপি ঠিক করা যায়।
 
বাই দ্য ওয়ে, ওনার নাম মোঃ সাদ্দাম। ভালই লাগলো তার সাথে কথা বলে। মানুষজন এখন অনেক কিছুই জানে। অনেক ক্ষেত্রে আমাদের মতো ‘শিক্ষিত’ লোকের চাইতেও বেশী।। তার চ্যানেলের লিংক নিয়েছি। ভিডিওগুলো দেখার অপেক্ষায় আছি।
মোঃ সাদ্দাম
মোঃ সাদ্দাম

মোঃ সাদ্দাম এর ইউটিউব চ্যানেল
আরেকজন গাড়ী চালকের ইউটিউব চ্যানেল

ফেসবুক মন্তব্য

রিফাত জামিল ইউসুফজাই

জাতিতে বাঙ্গালী, তবে পূর্ব পূরুষরা নাকি এসেছিলো আফগানিস্তান থেকে - পাঠান ওসমান খানের নেতৃত্বে মোঘলদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে। লড়াই এ ওসমান খান নিহত এবং তার বাহিনী পরাজিত ও পর্যূদস্ত হয়ে ছড়িয়ে পড়ে টাঙ্গাইলের ২২ গ্রামে। একসময় কালিহাতি উপজেলার চারাণ গ্রামে থিতু হয় তাদেরই কোন একজন। এখন আমি থাকি বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায়। কোন এককালে শখ ছিলো শর্টওয়েভ রেডিও শোনা। প্রথম বিদেশ ভ্রমণে একমাত্র কাজ ছিলো একটি ডিজিটাল রেডিও কেনা। ১৯৯০ সালে ষ্টকহোমে কেনা সেই ফিলিপস ডি ২৯৩৫ রেডিও এখনও আছে। দিন-রাত রেডিও শুনে রিসেপশন রিপোর্ট পাঠানো আর QSL কার্ড সংগ্রহ করা - নেশার মতো ছিলো সেসময়। আস্তে আস্তে সেই শখ থিতু হয়ে আসে। জায়গা নেয় ছবি তোলা। এখনও শিখছি এবং তুলছি নানা রকম ছবি। কয়েক মাস ধরে শখ হয়েছে ক্র্যাফটিং এর। মূলত গয়না এবং নানা রকম কার্ড তৈরী, সাথে এক-আধটু স্ক্র্যাপবুকিং। সাথে মাঝে মধ্যে ব্লগ লেখা আর জাবর কাটা। এই নিয়েই চলছে জীবন বেশ।