এই গরমে…

আমার বাপ-চাচার ছিলো পেট-পাতলা রোগ। খাওয়া-দাওয়ায় একটু অনিয়ম, তরকারীতে একটু ঝাল, মরিচের একটা বিচি পেটে গেলো তো তাদের পেট নেমে যেতো। আর এটা লেগেই থাকতো।
 
আমার পেট সেই তুলনায় অনেক ভাল। বছরে এক আধবার পেট খারাপ হয় হয়তো, কিন্তু সেরকম মারাত্মক কিছু না বা ক্রনিক কিছু না। বেশ কয়েক বছর আগে একবার মারাত্মক ডায়রিয়া হয়েছিলো। আব্বা তখন হাসপাতালে। খূব সম্ভবত হাসপাতাল থেকেই এর সুত্রপাত হয়েছিলো। ডায়রিয়া, সাথে প্রচন্ড জ্বর। ঘন্টাখানেকের মধ্যে কয়বার বাথরুমে যেতে হয়েছিলো তার হিসাব নাই। কাপড়ও নষ্ট করেছিলাম। পরে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে সেবারের মতো নিস্কৃতি।
 
কিন্তু এবার যা হলো সেটাকে শুদ্ধ বাংলায় বলে ‘কোষ্ঠ কাঠিণ্য’। কয়েকদিনের টানা গরম, সাথে খাওয়া-দাওয়ায় প্রোটিনের পরিমান বেশী, শাকসবজি কম এসব নানা কারণে (মনে হয়) ২/৩ দিন বাথরুম হয় নাই। এদিকে সারা শরীরে অস্বস্তি, নড়তে-চড়তে ভাল লাগে না। দিনের মধ্যে কয়েকবার করে বাথরুমে যাই, কিন্তু কাজ হয় না। এদিকে পানি খেতে খেতে এমন অবস্থা যে কয়েক মিনিট পরপরই বাথরুমে যেতে হয়।
 
শেষতক গরম পানি খেলাম, ইসবগুলের ভুসি খেলাম এবং রাত ১২টার পর আবার বাথরুমে গেলাম। অনেকক্ষণ মোচড়ামুচড়ির পর অবশেষে ছিড়ে-খুড়ে মনে হয় বেড়িয়ে গেলো সব।
 
ওম শান্তি !!!

ফেসবুক মন্তব্য

রিফাত জামিল ইউসুফজাই

জাতিতে বাঙ্গালী, তবে পূর্ব পূরুষরা নাকি এসেছিলো আফগানিস্তান থেকে - পাঠান ওসমান খানের নেতৃত্বে মোঘলদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে। লড়াই এ ওসমান খান নিহত এবং তার বাহিনী পরাজিত ও পর্যূদস্ত হয়ে ছড়িয়ে পড়ে টাঙ্গাইলের ২২ গ্রামে। একসময় কালিহাতি উপজেলার চারাণ গ্রামে থিতু হয় তাদেরই কোন একজন। এখন আমি থাকি বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায়। কোন এককালে শখ ছিলো শর্টওয়েভ রেডিও শোনা। প্রথম বিদেশ ভ্রমণে একমাত্র কাজ ছিলো একটি ডিজিটাল রেডিও কেনা। ১৯৯০ সালে ষ্টকহোমে কেনা সেই ফিলিপস ডি ২৯৩৫ রেডিও এখনও আছে। দিন-রাত রেডিও শুনে রিসেপশন রিপোর্ট পাঠানো আর QSL কার্ড সংগ্রহ করা - নেশার মতো ছিলো সেসময়। আস্তে আস্তে সেই শখ থিতু হয়ে আসে। জায়গা নেয় ছবি তোলা। এখনও শিখছি এবং তুলছি নানা রকম ছবি। কয়েক মাস ধরে শখ হয়েছে ক্র্যাফটিং এর। মূলত গয়না এবং নানা রকম কার্ড তৈরী, সাথে এক-আধটু স্ক্র্যাপবুকিং। সাথে মাঝে মধ্যে ব্লগ লেখা আর জাবর কাটা। এই নিয়েই চলছে জীবন বেশ।