দেশে করোনা পরিস্থিতি ভাল নয়। প্রতিদিনই নতুন নতুন করোনা আক্রান্ত রোগীর সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে। সেই সাথে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা। দেশে এমনিতেই স্বাস্থ্য সেবা অপ্রতুল, সেই সাথে অভাব আছে আইসিইউ এর। করোনা আক্রান্ত জটিল রোগীদের জন্য পর্যাপ্ত চিকিৎসা সূবিধা নেই। অভাব আছে অনেক কিছুরই। তাই প্রথমেই চেষ্টা করুন প্রতিরোধের। মাস্ক ছাড়া একেবারেই বাইরে যাবেন না। বা্ইরে গেলে নিরাপদ সামাজিক দূরত্ব মেনে চলুন। সেই সাথে দিনে কমপক্ষে ২০ বার সাবান দিয়ে ২০ সেকেন্ড ধরে হাত ধোয়ার অভ্যাস করুন। মনে রাখবেন প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধই উত্তম।
তারপরও যদি কোনভাবে করোনা আক্রান্ত হন তবে কি করবেন !?!
☞ হাসপাতালের পিছনে ঘুরবেন না, ঘুরলে আর ফিরে আসতে পারবেন না। পারিবারিক চিকিৎসায় ২/৫ দিনে করোনা নেগেটিভ সম্ভব।করোনা ভাইরাস নিয়ে হতাশ বা আতংকিত হওয়ার কোন কারন নেই, আপনি ঘরে বসেই ২ থেকে ৫ দিনে সুস্থ হতে পারবেন।
জেনে নিন কিভাবে সম্ভব।
সর্দি জ্বর, গলা ব্যথা, বা কাশি হউক নিয়ে নিন ঘরোয়া পদ্ধতিতে চিকিৎসাঃ
১) আদা, লেবু, তেজপাতা, এলাচি, লং, দাড়চিনি একটি পরিস্কার পাত্রে জল নিয়ে ১৫ মিনিট ফুটাতে থাকুন। সাথে আস্তা লেবু ২টা।
২) ফুটানো চলাকালে নিরাপদ দূরত্বে থেকে কমপক্ষে ৫ মিনিট গরম বাষ্প নাক দিয়ে লম্বা নিঃশ্বাস টেনে মুখ দিয়ে বের করতে হবে। দৈনিক এভাবে ৪ থেকে ৫ বার গ্রহন করুন।
৩) তারপর এই ফুটন্ত আদা, লেবু, তেজপাতা ইত্যাদির মিক্স গরম চায়ের মতো করে ১ ঘন্টা পরপর পান করতে থাকুন।
৪) সাথে খেতে পারেন প্যারাসিটেমল এক্সটেন্ড জাতীয় ঔষধ।
৫) ফুসফুসকে ভাল রাখার জন্য ঘরে বা ঘরের বারান্দায় বসে মুক্ত বাতাসে শ্বাস- প্রশ্বাসের ব্যায়াম করুন কমপক্ষে দৈনিক দুবার। নাক দিয়ে লম্বা নিশ্বাস গ্রহন করুন যত বেশী নিতে পারেন নিন তারপর যতোক্ষণ আটকিয়ে রাখতে পারেন রাখুন। তারপর আস্তে আস্তে মুখ দিয়ে দম ছাড়ুন। এভাবে ১০ বার করুন।
৬) প্লেটে আদা কেটে সামান্য লবন দিয়ে রাখুন। মুখে দিন একটু পরপর।
৭) আধা ঘন্টা পর পর গরম চা, গরম দুধ, গ্রিন টি পান করুন। গলা কোনভাবেই শুষ্ক রাখা যাবেনা।
আপনি বাঁচবেন কি বাঁচবেন না, আপনার ‘কী রোগ হলো’ ভুলেও এসব ভাবনা মাথায় প্রশ্রয় দিবেন না। মনে রাখবেন, আসল কথা হচ্ছে মনোবল। বনের বাঘে খায়না মনের বাঘে খায়। মনোবল হারালে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়, তাই আপনার যা ভালো লাগে তাই করবেন মনোবল চাংগা রাখার জন্যে।
উপরোক্ত পদ্ধতিতে আপনি ২ থেকে ৫ দিন চিকিৎসা নিলে এটা পরীক্ষিত সত্য যে তৃতীয় দিনের দিন আপনার করোনাভাইরাস নেগেটিভ হতে বাধ্য।
*লেখার মূল অংশটুকু ফেসবুক থেকে সংগৃহিত
**মূল লেখকের নাম পাওয়া যায় নাই
*লেখার মূল অংশটুকু ফেসবুক থেকে সংগৃহিত
**মূল লেখকের নাম পাওয়া যায় নাই
ফেসবুক মন্তব্য