সেদিন (অক্টোবর ৩, ২০২৩) গিয়েছিলাম মুন্সিগঞ্জ। হঠাৎ করেই প্রোগ্রাম। ইত্যাদিতে নাকি কাঠের তৈরী বাড়ী নিয়ে একটা প্রতিবেদন করেছিলে। দুলাভাই সেটা দেখে রীতিমতো অনুপ্রাণিত। ঘাটাইলে তার বাবার দেয়া টিনের বাড়ী অনেক পুরাতন হয়ে গেছে। সেটা আর তেমন মেরামতযোগ্যও নাই। সেটার পরিবর্তে একটা কাঠের বাড়ী মন্দ হয় না এমন ভাবনা থেকেই গতকালের মুন্সিগঞ্জ ভ্রমণ।
কাঠের বাড়ীগুলি দেখতে ভালই। কোন কোন বাড়ী আবার দোতালা, ভিতর দিয়ে সিড়ি। নিচের ঘরে প্রয়োজন অনুসারে রুম তৈরী করে দেয়া হয়। দ্বিতীয় তলায় একটাই বড় রুম। সাথে বারান্দা।
মূলতঃ বাড়ীর কাঠামো হলো কাঠের, তাতে নানা ডিজাইন করা থাকে। আর বাকি সব টিন এর। ছবিতে যে সাদা অংশগুলো দেখা যাচ্ছে সেগুলো টিন।
দোতলা এক একটা বাড়ীর দাম ৫-৭ লাখ টাকা। সাইজ মনে হয় ৩২ X ২৪ ফিট। পুরো বাড়ী যদি কাঠ দিয়ে করতে চান (উপরের চাল বাদে) তবে ১৫-১৭ লাখ টাকা খরচ হবে। বাড়ীর অংশগুলো তৈরী করে তারা জায়গায় গিয়ে ফিট করে দিয়ে আসবে। বসুন্ধরার কোন এক ব্লকে নাকি তারা এরকম বাড়ী তৈরী করে ফিট করে দিয়ে আসছে।
প্রতিবছর কাঠে মবিল দিতে হয়। মবিলের কথা শুনে একটু অবাক হয়েছিলাম। কারণ আমি জানতাম কাঠে ‘মাইট্টা তেল’ দেয়। ভদ্রলোক জানালেন মাইট্টা তেল আগে দিতো। এই তেল ব্যবহার করলে কাঠের রং কালো হয়ে যায়। আর মবিল ব্যবহার করলে কাজ একই, তবে রং হয় গাঢ় খয়েরি।
ছবি : নিজের তোলা
ফেসবুক মন্তব্য