কারু শিল্প মেলা

গিয়েছিলাম সোনারগাঁও এ লোকজ শিল্প ও কারু পণ্য মেলায়। আগামী ১৬ তারিখে শেষ হবে। আমি অবশ্য বড় সরদার বাড়ী এবং পানাম নগর দেখতে যাই নাই। যদিও বড় সরদার বাড়ী এই কমপ্লেক্স এর ভিতরেই ছিলো।
বড় সরদার বাড়ি
বড় সরদার বাড়ি
 
যারা ঢাকা থেকে যেতে চান তারা মওলানা ভাসানী হকি ষ্টেডিয়ামের সামনে থেকে দোয়েল বাসে করে মোগড়াপাড়া যাবেন। সেখান থেকে অটোতে সোনারগাঁও জাদুঘর। দোয়েল বাসে ভাড়া নাবে ৬৫ টাকা আর অটোতে ৩০ টাকা। মেলার টিকেট ৫০ টাকা আর যদি বড় সরদার বাড়ীতে দেখতে চান তবে আরো ১০০ টাকা লাগবে। অটোওয়ালারা অবশ্য চান্সে বেশী টাকা চাইতে পারে। মেলার বিক্রেতারাও একই কাজ করে। জিনিসপত্রের দাম চেয়ে বসে অনেক। দামাদামি করতে হয়।
সোনারগাঁও জাদুঘর
সোনারগাঁও জাদুঘর
 
দোয়েল ছাড়াও আরো কিছু বাস আছে যেগুলো মেঘনাঘাট যায়। সেগুলোতে করেও আপনি মোগড়াপাড়া বাস ষ্ট্যান্ডে নামতে পারেন। পানাম নগর সোনারগাঁও জাদুঘর থেকে কাছেই, অটোতে আরো ১০ টাকা নিবে। আর মোগড়াপাড়া থেকে ঐ ৩০ টাকার মতোই ভাড়া।

কারু শিল্প মেলার তোরণ
কারু শিল্প মেলার তোরণ
 

ফেসবুক মন্তব্য

রিফাত জামিল ইউসুফজাই

জাতিতে বাঙ্গালী, তবে পূর্ব পূরুষরা নাকি এসেছিলো আফগানিস্তান থেকে - পাঠান ওসমান খানের নেতৃত্বে মোঘলদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে। লড়াই এ ওসমান খান নিহত এবং তার বাহিনী পরাজিত ও পর্যূদস্ত হয়ে ছড়িয়ে পড়ে টাঙ্গাইলের ২২ গ্রামে। একসময় কালিহাতি উপজেলার চারাণ গ্রামে থিতু হয় তাদেরই কোন একজন। এখন আমি থাকি বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায়। কোন এককালে শখ ছিলো শর্টওয়েভ রেডিও শোনা। প্রথম বিদেশ ভ্রমণে একমাত্র কাজ ছিলো একটি ডিজিটাল রেডিও কেনা। ১৯৯০ সালে ষ্টকহোমে কেনা সেই ফিলিপস ডি ২৯৩৫ রেডিও এখনও আছে। দিন-রাত রেডিও শুনে রিসেপশন রিপোর্ট পাঠানো আর QSL কার্ড সংগ্রহ করা - নেশার মতো ছিলো সেসময়। আস্তে আস্তে সেই শখ থিতু হয়ে আসে। জায়গা নেয় ছবি তোলা। এখনও শিখছি এবং তুলছি নানা রকম ছবি। কয়েক মাস ধরে শখ হয়েছে ক্র্যাফটিং এর। মূলত গয়না এবং নানা রকম কার্ড তৈরী, সাথে এক-আধটু স্ক্র্যাপবুকিং। সাথে মাঝে মধ্যে ব্লগ লেখা আর জাবর কাটা। এই নিয়েই চলছে জীবন বেশ।