খোকার কথা

খোকার কথা আগে একবার লিখেছিলাম ব্লগে। সেই খোকার সাথে কথোপকথনের ভিডিও আজ শেয়ার করবো। 

সেদিন সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে পল্টুনের উপর বসে যখন টুকটাক ছবি তুলছিলাম তখন এক ছেলে এগিয়ে এসে জানতে চাইলো কি ভিডিও করছি। ওকে কিছু ছবি দেখালাম। কথা বলতে বলতেই জানলাম ও এখানের লেবার। তবে ওর কথা বলার ধরণ, ড্রেসআপ সব মিলিয়ে কিন্তু লেবার মনে হচ্ছিলো না। দেশের বাড়ী কিশোরগঞ্জ, তবে ঢাকায় আছে জন্ম থেকেই। পড়াশোনা ক্লাস ফোর পর্যন্ত। বাবা নাই, বেশ আগেই মারা গেছেন। তারপর থেকেই এখানে। আগে লঞ্চ থেকে ব্যবহৃত পানির বোতল সংগ্রহ করতো। তারপর সেগুলো ধূয়ে পরিস্কার করে আবার পানি ভরে বিক্রি করতো। এখন লঞ্চের যাত্রীদের মালামাল বহন করে। দিনশেষে যা পায়, তা দিয়েই কোন রকমে চলে।

এখন দেখুন সেই ভিডিও

ফেসবুক মন্তব্য

About the author

জাতিতে বাঙ্গালী, তবে পূর্ব পূরুষরা নাকি এসেছিলো আফগানিস্তান থেকে - পাঠান ওসমান খানের নেতৃত্বে মোঘলদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে। লড়াই এ ওসমান খান নিহত এবং তার বাহিনী পরাজিত ও পর্যূদস্ত হয়ে ছড়িয়ে পড়ে টাঙ্গাইলের ২২ গ্রামে। একসময় কালিহাতি উপজেলার চারাণ গ্রামে থিতু হয় তাদেরই কোন একজন। এখন আমি থাকি বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায়। কোন এককালে শখ ছিলো শর্টওয়েভ রেডিও শোনা। প্রথম বিদেশ ভ্রমণে একমাত্র কাজ ছিলো একটি ডিজিটাল রেডিও কেনা। ১৯৯০ সালে ষ্টকহোমে কেনা সেই ফিলিপস ডি ২৯৩৫ রেডিও এখনও আছে। দিন-রাত রেডিও শুনে রিসেপশন রিপোর্ট পাঠানো আর QSL কার্ড সংগ্রহ করা - নেশার মতো ছিলো সেসময়। আস্তে আস্তে সেই শখ থিতু হয়ে আসে। জায়গা নেয় ছবি তোলা। এখনও শিখছি এবং তুলছি নানা রকম ছবি। কয়েক মাস ধরে শখ হয়েছে ক্র্যাফটিং এর। মূলত গয়না এবং নানা রকম কার্ড তৈরী, সাথে এক-আধটু স্ক্র্যাপবুকিং। সাথে মাঝে মধ্যে ব্লগ লেখা আর জাবর কাটা। এই নিয়েই চলছে জীবন বেশ।