চলতি পথে

১. এক লোক বাস ষ্টপেজের কাছে টেবিল বসিয়ে মোবাইল সিম বিক্রি করছে। সামনে কাগজে লিখে রেখেছে “মাত্র ৫ টাকায় —- সিম”। আমি এটার একটা ছবি তুলতে চাইতেই সে অত্যন্ত কঠিন স্বরে না করে দিলো। আমিও হেসে ধন্যবাদ দিয়ে চলে আসলাম।
 
২. মোরে ট্রাফিক সিগনালে গাড়ী দাড়িয়ে আছে। আমার হাতে ক্যামেরা দেখে এক মোটর সাইকেল আরোহী ডাক দিয়ে ছবি তুলতে বললেন। আমি ছবি তেলার পর থাম্বস আপ দেখালেন।
 
৩. মোট্রো ষ্টেশনের ঢোকার মুখে ছবি তুলছি। এক কিশোর হাত ধরে ছবি তুলতে বললো। ছবি তুলে তাকে দেখালাম। তার সাথে থাকা আরেক কিশোর বলে এবার ২০ টাকা দেন। আমি বললাম তোমার বন্ধু আমাকে ডেকে ছবি তুলতে বলছে। আমাকে ২০০ টাকা দাও। আমার কথা শুনে দুজনেই কেটে পড়লো। আমিও হাসতে হাসতে চলে এলাম।

ফেসবুক মন্তব্য

রিফাত জামিল ইউসুফজাই

জাতিতে বাঙ্গালী, তবে পূর্ব পূরুষরা নাকি এসেছিলো আফগানিস্তান থেকে - পাঠান ওসমান খানের নেতৃত্বে মোঘলদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে। লড়াই এ ওসমান খান নিহত এবং তার বাহিনী পরাজিত ও পর্যূদস্ত হয়ে ছড়িয়ে পড়ে টাঙ্গাইলের ২২ গ্রামে। একসময় কালিহাতি উপজেলার চারাণ গ্রামে থিতু হয় তাদেরই কোন একজন। এখন আমি থাকি বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায়। কোন এককালে শখ ছিলো শর্টওয়েভ রেডিও শোনা। প্রথম বিদেশ ভ্রমণে একমাত্র কাজ ছিলো একটি ডিজিটাল রেডিও কেনা। ১৯৯০ সালে ষ্টকহোমে কেনা সেই ফিলিপস ডি ২৯৩৫ রেডিও এখনও আছে। দিন-রাত রেডিও শুনে রিসেপশন রিপোর্ট পাঠানো আর QSL কার্ড সংগ্রহ করা - নেশার মতো ছিলো সেসময়। আস্তে আস্তে সেই শখ থিতু হয়ে আসে। জায়গা নেয় ছবি তোলা। এখনও শিখছি এবং তুলছি নানা রকম ছবি। কয়েক মাস ধরে শখ হয়েছে ক্র্যাফটিং এর। মূলত গয়না এবং নানা রকম কার্ড তৈরী, সাথে এক-আধটু স্ক্র্যাপবুকিং। সাথে মাঝে মধ্যে ব্লগ লেখা আর জাবর কাটা। এই নিয়েই চলছে জীবন বেশ।