চা এখন জীবনের অন্যতম অনুষঙ্গ। অনেকে চা পান করেন না, তবে কোন বাসা-বাড়ীতে চায়ের ব্যবস্থা নেই এমন বোধহয় খূজে পাওয়া যাবে না। অনেকে আবার চা থেকে কফিতে উন্নীত হয়েছেন। আবার অনেকেই দুধ চা ছেড়ে র টি বা লিকার চা কিংবা লাল চায়ে অভ্যস্ত হয়েছেন। আমি নিজে অবশ্য চিনি বাদ দিয়েছি। তাতে মাঝে মধ্যে মনে হয় গরম পানি খাচ্ছি। দোকানে অনেক সময়ই লিকার চা বললে চিনি দিয়ে পুরোই শরবত পরিবেশন করা হয়।
যাই হোক। অনেক দোকানের চা অসম্ভব টেষ্ট। এরকম এক টেষ্টি চা খেয়েছিলাম পুরানো ঢাকার নবাব বাড়ীর এক রেস্তোরায়। বন্ধু এহতেশাম এর এক আত্মীয় ওয়াইজ ছিলো রেস্তোরার মালিক। ঐ দিকে গেলে অনেক সময়ই আমরা বসতাম সেই রেস্তোরায়। নাম মনে নেই আর সেটি এখন আর নেই ও। সেখানের চা খেয়ে বেশ তৃপ্তি পেয়েছিলাম। পরে এহতেশামের কাছে শুনেছিলাম সেই চায়ে পোস্তদানা দেয়া হতো, সেকারণেই নাকি টেষ্টি। পুরানো ঢাকার মানুষজন আরেক ধরণের চা বেশ পছন্দ করে। যদিও এই চা কোন রেস্তোরায় পাওয়া যায় কিনা জানি না। ওরা বলে মালাই চা। কাপের অর্ধেক থাকে মালাই, বাকিটা চা।
রাস্তার ধারের অনেক টি-ষ্টলেও বেশ ভাল মানের চা পাওয়া যায়। গত বছর আব্বা যখন লুবানা হাসপাতালে ছিলো, তখন একজন এরকম এক ষ্টলে নিয়ে গিয়েছিলো। ষ্টল বলতে তেমন কিছু না। ফুটপাতের এক কোনায় টেবিল পাতা। টেবিলের উপর ফ্লাস্কে চা আর পাশে ওয়ান টাইম প্লাষ্টিক গ্লাস। লাল চা, আদা আর লেবু দেয়া। কিন্তু লিকার, চিনি, আদা আর লেবুর পরিমান ছিলো পারফেক্ট, ফলে টেষ্টও ছিলো তেমন। লেবু আর আদা অবশ্য মেশানো থাকতো না। গ্লাসে লিকার ঢেলে তারপর দিতো। এরপর বেশ কিছুদিন আমি ঐদিকে গেলে সেই চা পান করেছি। কিন্তু ইদানিং সেই চাওয়ালাকে আর দেখি না। লুবানা হাসপাতাল থেকে জমজম টাওয়ারের দিকে যেতে ব্রোষ্ট ক্যাফে ছাড়িয়েই ছিলো এর অবস্থান।
অনলাইনে প্রথম আলোর এক আর্টিকেল খূজতে খূজতে ২০০৯ সালের ৪ঠা জানুয়ারী তারিখের ‘ঢাকায় থাকি’ অংশে পেলাম এক আর্টিকেল ‘এক কাপ চা’। নিচে তুলে দিলাম ….
জানাবেন কিন্তু কেমন লাগলো চা !!!
চায়ের কাপের ছবি এখান থেকে
ফেসবুক মন্তব্য