ছানি অপারেশন

২০১৪ সালের নভেম্বর মাসে চোখের ছানি অপারেশন হয়েছিলো।

১৪ই নভেম্বর তারিখে ফেসবুে একটা ষ্ট্যাটাস পোষ্ট করেছিলাম। সেটা এখানে তুলে দিলাম।

চোখের সার্জারী সাকসেসফুল !!!
এখন অনেক ভাল দেখছি। স্পেশালী কালার। আগে মনে হয় কালারগুলো ঠিকমতো দেখতাম না। অনেকটাই ফ্যাকাশে ছিলো। এখন ওভার স্যাচুরেটেড কালার দেখছি, লাল এখটু বেশী লাল, সবুজ আরো সবুজ এরকম মনে হচ্ছে। বাসার কিছু জিনিসের কালার দেখে নিজেই অবাক হচ্ছি। বাথরুমের দরজা এতোদিন দেখতাম অফ হোয়াইট, এখন দেখি সেটা ঘিয়ে কালারের। লেখা পড়তে একটু সমস্যা হচ্ছে। প্রতিটা জিনিসেরই পাশে একটা হালকা শ্যাডো টাইপ কিছু দেখা যাচ্ছে। বড় জিনিসে যেমন বিল্ডিং, গাড়ী ইত্যাদিতে সমস্যা হচ্ছে না, তবে লেখার সাথে এটা দেখা গেলে একটু প্রব হচ্ছে পড়তে। ডাক্তার অবশ্য বলেছেন এডজাষ্ট হতে কিছুটা সময় লাগবে, তারপরও যেটা থাকবে সেটা চশমা দিয়ে এডজাষ্ট করতে হবে।
 
সবচেয়ে ভাল উন্নতি টের পাচ্ছি ক্যামেরা হাতে নিলে। গতকাল ক্যামেরা বের করে একটু নাড়াচাড়া করাম। গত ৪ বছরে ক্যামেরার ভিউ ফাইন্ডার দিয়ে তাকালে নিচের দিকে যে সেটিংস দেখা যায় সেগুলো কখনই পড়তে পারি নাই, মাঝে মধ্যে সামান সাদা দাগ-টাগ কিছু একটা দেখতাম। এখন পূরোটাই দেখি। রুল অফ থার্ডস এর যে ছকটা ছিলো সেগুলো দেখতে পারতাম না, ফোকাস পয়েন্ট দেখতাম না। রৌদ্রৌজ্জল দিন ছাড়া এবং সাথে হালকা ব্যাকগ্রাউন্ড থাকলে কালেভদ্রে পয়েন্টার দেখতাম। এখন সবই পরিস্কার দেখতে পাচ্ছি।
 
ড. নিয়াজ আবদুর রহমান ফলোআপের দিন জানালেন তিনি যা আশা করেছিলেন সার্জারী তার থেকেও অনেক বেশী ভাল হয়েছে। আমার নিজের অভিজ্ঞতাও তাই বলছে।
 
তবে ঘটনা হলো, অন্য চোখের আর ছানি অপারেশন করি নাই। এভাবেই চলছে।
 
ফটো ক্রেডিট : চ্যাটজিপিটি

 

ফেসবুক মন্তব্য

রিফাত জামিল ইউসুফজাই

জাতিতে বাঙ্গালী, তবে পূর্ব পূরুষরা নাকি এসেছিলো আফগানিস্তান থেকে - পাঠান ওসমান খানের নেতৃত্বে মোঘলদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে। লড়াই এ ওসমান খান নিহত এবং তার বাহিনী পরাজিত ও পর্যূদস্ত হয়ে ছড়িয়ে পড়ে টাঙ্গাইলের ২২ গ্রামে। একসময় কালিহাতি উপজেলার চারাণ গ্রামে থিতু হয় তাদেরই কোন একজন। এখন আমি থাকি বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায়। কোন এককালে শখ ছিলো শর্টওয়েভ রেডিও শোনা। প্রথম বিদেশ ভ্রমণে একমাত্র কাজ ছিলো একটি ডিজিটাল রেডিও কেনা। ১৯৯০ সালে ষ্টকহোমে কেনা সেই ফিলিপস ডি ২৯৩৫ রেডিও এখনও আছে। দিন-রাত রেডিও শুনে রিসেপশন রিপোর্ট পাঠানো আর QSL কার্ড সংগ্রহ করা - নেশার মতো ছিলো সেসময়। আস্তে আস্তে সেই শখ থিতু হয়ে আসে। জায়গা নেয় ছবি তোলা। এখনও শিখছি এবং তুলছি নানা রকম ছবি। কয়েক মাস ধরে শখ হয়েছে ক্র্যাফটিং এর। মূলত গয়না এবং নানা রকম কার্ড তৈরী, সাথে এক-আধটু স্ক্র্যাপবুকিং। সাথে মাঝে মধ্যে ব্লগ লেখা আর জাবর কাটা। এই নিয়েই চলছে জীবন বেশ।