ছাপড়ি

এমআরটি লাইন ১ এর কাজ এর জন্য এখন উত্তরা থেকে এয়ারপোর্ট পর্যন্ত নিয়মিত জ্যাম হচ্ছে। এটি এড়ানোর কোন উপায় নাই। সকাল বেলাতেই দেখা যায় রাজলক্ষী পর হতে না হতেই জ্যাম শুরু, এয়ারপোর্ট পার হয়ে তারপর শেষ হয়। বেশীরভাগ প্রাইভেট কার তখন এলিভেটেড এক্সপ্রেস ওয়েতে উঠে যায়। মোটামুটি সারাদিনই এই অংশে জ্যাম থাকে।
 
এই অংশ দিয়ে, বিশেষ করে জসিমউদ্দিন এভিনিউ এর পর থেকে হেটে যাওয়াও মুশকিল। কারণ ফুটপাতগুলো এখনও সেভাবে তৈরী হয় নাই। একমাত্র এপিবিএন এর সামনের ফুটপাতটি বেশ প্রশস্ত। আর এই প্রশস্ত ফুটপাতে জ্যামের সময় কিছু লোক মোটর সাইকেল নিয়ে উঠে পড়ে। সবাই জ্যাম ঠেলে যাচ্ছে আর তাদের দেরী সহ্য হয় না। ছোট একটা ভিডিও করেছিলাম সেদিন। ভিডিও’টি দেখতে পারবেন আমার ফেসবুক পেজে।
 
কবি মনে হয় এদেরকেই “ছাপড়ি” বলেছেন।
ছাপড়ি
 

ফেসবুক মন্তব্য

রিফাত জামিল ইউসুফজাই

জাতিতে বাঙ্গালী, তবে পূর্ব পূরুষরা নাকি এসেছিলো আফগানিস্তান থেকে - পাঠান ওসমান খানের নেতৃত্বে মোঘলদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে। লড়াই এ ওসমান খান নিহত এবং তার বাহিনী পরাজিত ও পর্যূদস্ত হয়ে ছড়িয়ে পড়ে টাঙ্গাইলের ২২ গ্রামে। একসময় কালিহাতি উপজেলার চারাণ গ্রামে থিতু হয় তাদেরই কোন একজন। এখন আমি থাকি বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায়। কোন এককালে শখ ছিলো শর্টওয়েভ রেডিও শোনা। প্রথম বিদেশ ভ্রমণে একমাত্র কাজ ছিলো একটি ডিজিটাল রেডিও কেনা। ১৯৯০ সালে ষ্টকহোমে কেনা সেই ফিলিপস ডি ২৯৩৫ রেডিও এখনও আছে। দিন-রাত রেডিও শুনে রিসেপশন রিপোর্ট পাঠানো আর QSL কার্ড সংগ্রহ করা - নেশার মতো ছিলো সেসময়। আস্তে আস্তে সেই শখ থিতু হয়ে আসে। জায়গা নেয় ছবি তোলা। এখনও শিখছি এবং তুলছি নানা রকম ছবি। কয়েক মাস ধরে শখ হয়েছে ক্র্যাফটিং এর। মূলত গয়না এবং নানা রকম কার্ড তৈরী, সাথে এক-আধটু স্ক্র্যাপবুকিং। সাথে মাঝে মধ্যে ব্লগ লেখা আর জাবর কাটা। এই নিয়েই চলছে জীবন বেশ।