জিয়া হত্যাকান্ড

সদ্য এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছি। এখানে-ওখানে ঘুরে বেড়াই আর আড্ডা দেই। সেদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে, নাশতা করে বের হয়েছি ঘুরতে। কেমন যেন গুমট একটা ভাব। সকালে পত্রিকা পড়া হয় নাই। লোকজন কেমন যেন ফিসফাস করে কথা বলছে।
 
আমি হাটতে হাটতে চলে গেলাম নয়াপল্টনে রকিবদের বাসায়। কিন্তু রকিব বাসায় ছিলো না। আমি আবার রাস্তায়। সামনেই বিএনপি’র অফিস। সেখানে কিছু লোকজন আসছে যাচ্ছে। হঠাৎ দেখলাম এক রিকশা ঘিরে কিছু লোক জটলা করছে। আমি সেটার সামনে গিয়ে দেখি এক তরুন রিকশার গদির নিচে কিছু একটা রাখছে। আলাপে বুঝলাম পিস্তল বা এ জাতীয় কোন কিছু। এখানে থাকা উচিত হচ্ছে না ভেবে যেই ঘুরেছি, তখনই দেখি রকিব।
 
রকিব আমাকে দেখেই বললো খবর শুনো নাই? কি খবর? জিয়া’কে তো মেরে ফেলেছে চিটাগাং এ। তাই নাকি !
 
রকিবই তাড়া দিলো আমাকে বাসায় চলে যাওয়ার জন্য। বললো অবস্থা ভাল মনে হচ্ছে না। আমিও তাকে রিকশার কথা বললাম। শুনে বললো বিএনপি’র অফিসে অস্ত্র নিয়ে অনেকেই ঢুকছে-বের হচ্ছে। আমি বাসার দিকে রওনা দিলাম।
 
সেদিন ছিলো ৩০শে মে, ১৯৮১ সাল।
 
ছবি : ইন্টারনেট থেকে সংগৃহিত

ফেসবুক মন্তব্য

রিফাত জামিল ইউসুফজাই

জাতিতে বাঙ্গালী, তবে পূর্ব পূরুষরা নাকি এসেছিলো আফগানিস্তান থেকে - পাঠান ওসমান খানের নেতৃত্বে মোঘলদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে। লড়াই এ ওসমান খান নিহত এবং তার বাহিনী পরাজিত ও পর্যূদস্ত হয়ে ছড়িয়ে পড়ে টাঙ্গাইলের ২২ গ্রামে। একসময় কালিহাতি উপজেলার চারাণ গ্রামে থিতু হয় তাদেরই কোন একজন। এখন আমি থাকি বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায়। কোন এককালে শখ ছিলো শর্টওয়েভ রেডিও শোনা। প্রথম বিদেশ ভ্রমণে একমাত্র কাজ ছিলো একটি ডিজিটাল রেডিও কেনা। ১৯৯০ সালে ষ্টকহোমে কেনা সেই ফিলিপস ডি ২৯৩৫ রেডিও এখনও আছে। দিন-রাত রেডিও শুনে রিসেপশন রিপোর্ট পাঠানো আর QSL কার্ড সংগ্রহ করা - নেশার মতো ছিলো সেসময়। আস্তে আস্তে সেই শখ থিতু হয়ে আসে। জায়গা নেয় ছবি তোলা। এখনও শিখছি এবং তুলছি নানা রকম ছবি। কয়েক মাস ধরে শখ হয়েছে ক্র্যাফটিং এর। মূলত গয়না এবং নানা রকম কার্ড তৈরী, সাথে এক-আধটু স্ক্র্যাপবুকিং। সাথে মাঝে মধ্যে ব্লগ লেখা আর জাবর কাটা। এই নিয়েই চলছে জীবন বেশ।