টেইলর বেল

ইউটিউবে তো কত চ্যানেলই দেখি। কিছু চ্যানেল আছে যেগুলি সাবস্ক্রাইব করেছি। এদের মধ্যে ফটোগ্রাফি, ভিডিওগ্রাফি, গ্যাজেট, আনবক্সিং, হাউ টু টাইপ চ্যানেল বেশী। এর বাইরে ইদানিং ঘোরাঘুরি এবং লাইফষ্টাইল টাইপ ভিডিও দেখছি। ডেইলি লাইফ টাইপের ভিডিও দেখছি। কি কারণে যেন ডেইলি লাইফ ভিডিও নিয়ে ইউটিউবে সার্চ করেছিলাম কিছুদিন আগে। সার্চে প্রথম দিকেই পেলাম এই মহিলার সাম্প্রতিক একটি ভিডিও। দেখার পর মনে হলো তার হাসি কিন্তু বেশ। আর সেই হাসি দেখতে দেখতে কয়েকদিনের মধ্যে বেশ কিছু ভিডিও দেখে ফেলেছি। হাসি ছাড়াও তার কন্টেন্টগুলো কিন্তু বেশ ইন্টারেষ্টিং। আর মহিলা অনর্গল কথা বলে যেতে পারেন কোন রকম বিরতি ছাড়াই।
 
শেষতক ঠিক করলাম তার একদম প্রথম ভিডিও থেকে দেখতে হবে। টেইলর বেল যখন প্রথম ভিডিও আপলোড করেন তখন তিনি সদ্য গ্র্যাজুয়েট হয়েছেন। তার নিউইয়র্কে যাওয়ার কথা কিছুদিন পর ম্যানেজমেন্ট কনসালটেন্ট হিসেবে জয়েন করার জন্য। মাঝে কয়েক মাসের একটা গ্যাপ ছিলো।
 
সেসময় ঘর গোছাতে গিয়ে তার মনে হলো জামা-কাপড়ের সংখ্যা একটু বেশী হয়ে গেছে। কিছু জামা-কাপড় হয়তো আর কখনই পরা হবে না। প্রথমে চিন্তা করলেন কিছু জামা-কাপড় দান করে দিবেন। বাকিগুলো নিয়ে কি করবেন ? ব্র্যান্ড এর জামা যেগুলো নতুনের মতো আছে সেগুলো অনলাইনে বিক্রি করা যেতে পারে এই চিন্তা থেকেই একটা ব্যবসা দাড় করালেন। । নিজের ব্যবহৃত জামা-কাপড় বিক্রি করার পর বিভিন্ন দোকান (থ্রিফট ষ্টোর) থেকে ঘুরে ঘুরে পুরাতন জামা-জুতা-একসেসরিজ কেনা শুরু করলেন এবং সেগুলো অনলাইনে রিসেল করা শুরু করলেন।
 
তার ইউটিউবের শুরুই হয়েছে এই কাহিনী দিয়ে। এরপর তিনি নিউইয়র্কে কনসাল্টটেন্ট হিসেবে চাকরি শুরু করলেন। একসময় চাকরি ছেড়ে দিয়ে ফুল টাইম কন্টেন্ট ক্রিয়েটর হয়ে গেলেন। এখন পর্যন্ত সে ইউটিউবে ভিডিও আপলোড করে যাচ্ছে। সেই সাথে ইনস্টাগ্রামে ও আছেন।
 
টেইলর বেল এর ইউটিউব চ্যানেল
 
ছবি : ইউটিউব
Taylor Bell
টেইলর বেল

ফেসবুক মন্তব্য

রিফাত জামিল ইউসুফজাই

জাতিতে বাঙ্গালী, তবে পূর্ব পূরুষরা নাকি এসেছিলো আফগানিস্তান থেকে - পাঠান ওসমান খানের নেতৃত্বে মোঘলদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে। লড়াই এ ওসমান খান নিহত এবং তার বাহিনী পরাজিত ও পর্যূদস্ত হয়ে ছড়িয়ে পড়ে টাঙ্গাইলের ২২ গ্রামে। একসময় কালিহাতি উপজেলার চারাণ গ্রামে থিতু হয় তাদেরই কোন একজন। এখন আমি থাকি বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায়। কোন এককালে শখ ছিলো শর্টওয়েভ রেডিও শোনা। প্রথম বিদেশ ভ্রমণে একমাত্র কাজ ছিলো একটি ডিজিটাল রেডিও কেনা। ১৯৯০ সালে ষ্টকহোমে কেনা সেই ফিলিপস ডি ২৯৩৫ রেডিও এখনও আছে। দিন-রাত রেডিও শুনে রিসেপশন রিপোর্ট পাঠানো আর QSL কার্ড সংগ্রহ করা - নেশার মতো ছিলো সেসময়। আস্তে আস্তে সেই শখ থিতু হয়ে আসে। জায়গা নেয় ছবি তোলা। এখনও শিখছি এবং তুলছি নানা রকম ছবি। কয়েক মাস ধরে শখ হয়েছে ক্র্যাফটিং এর। মূলত গয়না এবং নানা রকম কার্ড তৈরী, সাথে এক-আধটু স্ক্র্যাপবুকিং। সাথে মাঝে মধ্যে ব্লগ লেখা আর জাবর কাটা। এই নিয়েই চলছে জীবন বেশ।