ট্র্যাফিক জ্যাম

আজ ফেসবুকের এক গ্রুপে একজন প্রশ্ন করেছিলেন ঢাকা শহরের জ্যামের জন্য সবচেয়ে দায়ী ব্যক্তিগত গাড়ী নাকি রিকশা নাকি মোটর সাইকেল – আমি উত্তর দিলাম আমাদের মন মানসিকতা।
 
ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে যখনই যাই দেখা যায় কিছু গাড়ী সাই সাই করে পাশ কাটিয়ে চলে যাচ্ছে। মানে তারা ৬০ কিলোমিটারের গতিবেগ মানছে না। আবার মাঝে মধ্যে দেখা যায় কেউ গাড়ী থামিয়ে সেলফি তোলায় ব্যস্ত। যদিও এদৃশ্য রাত বেশী হলেই দেখা যায়।
 
একই গ্রুপে দেখা যায় অনেকেই প্রশ্ন করেন এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের স্পিড ক্যামেরা আসলেই কাজ করে কিনা অথবা এখন পর্যন্ত কেউ ভিডিও মামলা পেয়েছেন কিনা। মানে আমরা কেউ ই আসলে আইন মানতে চাই না, কিন্তু অন্যের দিকে আঙ্গুল তুলতে এক সেকেন্ডও দেরী করি না। রাস্তায় একজন রিকশাওয়ালা কিংবা একজন বাস ড্রাইভার কিংবা একজন প্রাইভেট কারের মালিক এমন কি বাস বা রিকশার একজন যাত্রীর মন মানসিকতায় বিন্দুমাত্র ফারাক নেই। সবাই যে কোন মূল্যে আগে যেতে চায়। একজন ড্রাইভার তো চেষ্টা করেই, যাত্রীও পিছনে বসে তাড়া দেয় পাশের গাড়ী তো পাশ কাটিয়ে চলে গেলো। কি গাড়ী চালাও মিয়া।

ফেসবুক মন্তব্য

রিফাত জামিল ইউসুফজাই

জাতিতে বাঙ্গালী, তবে পূর্ব পূরুষরা নাকি এসেছিলো আফগানিস্তান থেকে - পাঠান ওসমান খানের নেতৃত্বে মোঘলদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে। লড়াই এ ওসমান খান নিহত এবং তার বাহিনী পরাজিত ও পর্যূদস্ত হয়ে ছড়িয়ে পড়ে টাঙ্গাইলের ২২ গ্রামে। একসময় কালিহাতি উপজেলার চারাণ গ্রামে থিতু হয় তাদেরই কোন একজন। এখন আমি থাকি বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায়। কোন এককালে শখ ছিলো শর্টওয়েভ রেডিও শোনা। প্রথম বিদেশ ভ্রমণে একমাত্র কাজ ছিলো একটি ডিজিটাল রেডিও কেনা। ১৯৯০ সালে ষ্টকহোমে কেনা সেই ফিলিপস ডি ২৯৩৫ রেডিও এখনও আছে। দিন-রাত রেডিও শুনে রিসেপশন রিপোর্ট পাঠানো আর QSL কার্ড সংগ্রহ করা - নেশার মতো ছিলো সেসময়। আস্তে আস্তে সেই শখ থিতু হয়ে আসে। জায়গা নেয় ছবি তোলা। এখনও শিখছি এবং তুলছি নানা রকম ছবি। কয়েক মাস ধরে শখ হয়েছে ক্র্যাফটিং এর। মূলত গয়না এবং নানা রকম কার্ড তৈরী, সাথে এক-আধটু স্ক্র্যাপবুকিং। সাথে মাঝে মধ্যে ব্লগ লেখা আর জাবর কাটা। এই নিয়েই চলছে জীবন বেশ।