ডেন্টিষ্ট এর কাছে মনে হয় এই ইহজীবনে মাত্র একবারই গিয়েছিলাম। বন্ধু সাইমু ঢাকা ডেন্টাল কলেজে ইন্টার্ন করার সময় স্কেলিং করিয়েছিলাম। এরপর দাঁতে টুকটাক প্রব হলেও ডেন্টিষ্ট এর কাছে আর যাওয়া হয় নাই। কিন্তু এবার ঈদ এর পর থেকে দাঁতে রীতিমতো ব্যথা, সেই সাথে ঠান্ডা / গরম কিছু খেতে গেলেই ভয়াবহ রকমের শীরশীরে অনুভূতি শুরু হলো। শেষে অবস্থা এমন হলো যে নরমাল পানি খেতে গেলেও শীরশীর থেকে ব্যথা শুরু হয়ে যায়।
শেষতক আজ ডেন্টিষ্টের দ্বারস্থ হতেই হলো। ডা. শায়লা আহমেদ মুনিয়া সবকিছু শুনে এবং দেখে জানালেন যে দাঁতের যত্ন না নেয়ায় দাঁতের গোড়ায় প্রচুর ময়লা জমে পাথর হয়ে গেছে। সেই সাথে মাড়িতে ইনফেকশন। আপাতত স্কেলিং করতে হবে, সাথে ইনফেকশন এর চিকিৎসা। পরে কয়েকটা দাঁতে ফিলিং করতে হবে।
আজ প্রাথমিক স্কেলিং হলো। আবার পরশুদিন যাবো ফাইনাল স্কেলিং এর জন্য। এরপর পরের ধাপ। যথেষ্ঠ সময় নিয়ে কাজ করেছেন ডাক্তার। প্রচুর পাথর বের হয়েছে। এখন দাঁতগুলো পাতলা লাগতেছে।
ব্যথা আর শীরশীরে অনুভূতি হয়তো আরো কিছুদিন সহ্য করতে হবে। কিছুই করার নাই। দাঁত থাকতে দাঁতের মর্যাদা না বুঝলে এমনই হয়।
অবশেষে আপাতত একখানা দাঁত বিসর্জন দিতে হইলো। দ্বিতীয় দিন স্কেলিং করার সময় ডেন্টিষ্ট জানাইলেন একখানা দাঁতে ক্যাভিটি আছে। এক্সরে করিয়া কনফার্ম করিলেন। রুট ক্যানেল করিতে গিয়া দেখা গেলো ভিতরের অবস্থা আরো খারাপ। সমাধান – দাঁত তুলিয়া ফেলা। তিনদিন পর আবার যাইতে হইবে। অতঃপর স্কেলিং করিয়া বেশ কিছু দাঁতে ফিলিং করিতে হইবে।
Image by Rochak Shukla on Freepik
ফেসবুক মন্তব্য