গতকাল বাসায় একটা অনুষ্ঠান ছিলো। উদ্যোক্তা ছিলো প্রবাসী দুই ভাগ্নী। তারা বিদেশে থেকেই খাবার অর্ডার করে দিয়েছিলো Tonni’s kitchen থেকে। খাবার আসার কথা ৬টার দিকে। দূপুর বেলা তারা ফোন করে জানালো খাবার আসবে ৮:৩০ এর দিকে। আমি তাদের বললাম ৭টা থেকে ৮টার মধ্যে পাঠানোর চেষ্টা করবেন, না হলে ৯টা বেজে যাবে।
পৌনে ৮টায় কল দিলাম। বলে খাবার রেডি হচ্ছে। আমার তো মেজাজ পুরাই খারাপ হয়ে গেলো। বাসায় আমন্ত্রিতরা আসা শুরু করেছেন। ঝাঁড়ি দেয়ার পর মহিলা জানালেন তারা দ্রুত পাঠানোর চেষ্টা করছেন, মোটর সাইকেল দিয়ে খূব বেশী সময় লাগবে না। মোটর সাইকেলের কথা শুনে আমার তো মাথা পুরাই নষ্ট। এতো খাবার পাঠাবে মোটর সাইকেলে করে !?! ২৪ জনের খাবার ছিলো। খাবারগুলো সাজানো থাকে ডালাতে।
আরো ২/৩ বার যোগাযোগের পর খাবার আসলো ৯:১৫ এর দিকে। রাইডার যে ভাবে ডালাগুলো একটার উপর আরেকটা সাজিয়ে মোটর সাইকেলের পিছনে বেঁধে নিয়ে এসেছে দেখে তো আমার চোখ চড়কগাছ।
সবকিছু গুছিয়ে নিয়ে খেতে বসে সবাই বেশ খুশী। খাবার বেশ ভাল ছিলো। যে টেনশন আর মেজাজ খারাপ হয়েছিলো সেটা নিমিষেই উধাও হয়ে গিয়েছিলো।
ছবি : এটা সবচেয়ে বড় ডালা। ৮ জনের জন্য। পিছনে ছোট ডালা, ৪ জনের জন্য। বড় ডালা ১টা, ছোট ডালা ৪টা। রাইডার এই ডালা গুলোর উপরে-নিচে বড় পাতিলের ঢাকনা দিয়ে ঢেকে তারপর টেপ দিয়ে আটকে দিয়েছিলো। এরপর বড় ডালার উপরে ছোট ডালাগুলো বসিয়ে প্লাষ্টিক রোপ দিয়ে বেশ শক্তভাবে সোটর সাইকেলের সাথে বেঁধে নিয়েছিলো।
ফেসবুক মন্তব্য