দাম-দর

উত্তরায় বুধবার দিন মার্কেট হলি ডে। এই দিন বন্ধ মার্কেট বা দোকানের সামনে অস্থায়ী সব দোকান বসে নানা জিনিস নিয়ে। আর দুপুর গড়িয়ে বিকেল হতে না হতেই মহিলাবৃন্দ কাতার এ কাতার এই সব দোকানের সামনে হুমড়ি খেয়ে পড়ে। কোন কোন জায়গায় তো হাটাই মুশকিল হয়ে যায়।
 
গতকাল এরকম এক ভীড়ের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় শুনলাম দোকানী কোন কিছুর দাম বলছিলো ৮০ টাকা। মহিলা ক্রেতা সোজাসুজি বললেন ৪০ টাকা দিলে দেন। পাশ থেকে আরেক দোকানী টিপ্পনী কাটলো ‘৪০ টাকাই বেশী হয়ে যায়, এইডি হেরা ২০ টাকায় বেঁচে আসলে’।
 
ছোটবেলায় আব্বার সাথে মার্কেটে গেলে শরম লাগতো। কারণ আব্বা দোকানীর বলা দামের অর্ধেক কিংবা এক-তৃতীয়াংশ বলতো। শেষে অবশ্য দেখা যেতো আব্বার বলা দামের কাছাকাছি দামেই জিনিসটা কেনা হয়েছে। আমি এখনও দাম-দর করতে পারি না ঠিকমতো। আমার জন্য ফিক্সড প্রাইস শপ ই ভাল।
 
ফটো ক্রেডিট : ChatGPT (AI Generated Image)

ফেসবুক মন্তব্য

রিফাত জামিল ইউসুফজাই

জাতিতে বাঙ্গালী, তবে পূর্ব পূরুষরা নাকি এসেছিলো আফগানিস্তান থেকে - পাঠান ওসমান খানের নেতৃত্বে মোঘলদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে। লড়াই এ ওসমান খান নিহত এবং তার বাহিনী পরাজিত ও পর্যূদস্ত হয়ে ছড়িয়ে পড়ে টাঙ্গাইলের ২২ গ্রামে। একসময় কালিহাতি উপজেলার চারাণ গ্রামে থিতু হয় তাদেরই কোন একজন। এখন আমি থাকি বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায়। কোন এককালে শখ ছিলো শর্টওয়েভ রেডিও শোনা। প্রথম বিদেশ ভ্রমণে একমাত্র কাজ ছিলো একটি ডিজিটাল রেডিও কেনা। ১৯৯০ সালে ষ্টকহোমে কেনা সেই ফিলিপস ডি ২৯৩৫ রেডিও এখনও আছে। দিন-রাত রেডিও শুনে রিসেপশন রিপোর্ট পাঠানো আর QSL কার্ড সংগ্রহ করা - নেশার মতো ছিলো সেসময়। আস্তে আস্তে সেই শখ থিতু হয়ে আসে। জায়গা নেয় ছবি তোলা। এখনও শিখছি এবং তুলছি নানা রকম ছবি। কয়েক মাস ধরে শখ হয়েছে ক্র্যাফটিং এর। মূলত গয়না এবং নানা রকম কার্ড তৈরী, সাথে এক-আধটু স্ক্র্যাপবুকিং। সাথে মাঝে মধ্যে ব্লগ লেখা আর জাবর কাটা। এই নিয়েই চলছে জীবন বেশ।