ধর্মান্ধতা যে আমাদের দেশ থেকে সহজেই নির্মূল হবে না তার বড় প্রমান মনে হয় সেই টিপ কাহিনী। ঘটনা সংক্ষেপ : একজন শিক্ষিকা তার কর্মস্থলে যাওয়ার সময় পিছন থেকে তাঁর কপালের টিপ নিয়ে করা অভব্য মন্তব্য শুনতে পান। ঘুরে দাড়িয়ে এর প্রতিবাদ করতে গিয়ে দেখেন মোটর সাইকেলে বসা জনৈক পুলিশ। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে সেই পুলিশ তার মোটর সাইকেল তাঁর গায়ের উপর তুলে দেয়ার চেষ্টা করে। পরে সেই শিক্ষিকা নিকটস্থ থানায় অভিযোগ করেন। অভিযোগ পাওয়ার পর পুলিশ তৎপর হয় এবং সেই পুলিশ কনষ্টেবলকে আটক করে। শেষ খবর হলো সেই কনষ্টেবলকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
এখন আপনি হয়তো বলবেন প্রশাসন তো দ্রুতই ব্যবস্থা নিয়েছে। আমিও স্বীকার করি প্রশাসন খূব দ্রুতই প্রয়োজনীয় তদন্ত শেষে ব্যবস্থা নিয়েছে। এক্ষেত্রে হয়তো ঘটনাটি মিডিয়ায় ব্যাপক প্রচার অংশত দায়ী। এরকম অনেক ঘটনাই হয়তো অন্তরালে চলে যায়।
প্রতি বছর পূজার সময় বাংলাদেশের কোথাও না কোথাও মন্দির / পূজা মন্ডপ / প্রতিমা ভাঙ্গচুর হয়। আজ পর্যন্ত কি খবর পেয়েছেন যে সেই ভাঙ্গচুরের সাথে জড়িত কারো দৃষ্টান্ত মূলক সাজা হয়েছে ? সাজা তো অনেক দূরের বিষয়, থবর হওয়ার পর খূব কম ক্ষেত্রেই দেখা যায় কেউ গ্রেফতার হয়েছে। আসলে কিছুই হয় না। যা হয় তাও লোক দেখানো।
এখানে বলে রাখা ভাল উপরের টিপ কান্ডে যে কনষ্টেবল সাময়িক বরখাস্ত হয়েছে বিভাগীয় মামলায় দোষী সাব্যস্ত হলে তার কয়েক বছরের প্রমোশন আটকে যাবে মাত্র। সুতরাং যা চলছে তা চলবেই।
বিবিসি’র খবরের লিংক
ফেসবুক মন্তব্য