পরীমনি’কে নিয়ে অনেকেরই ব্যাপক আপত্তি আছে। থাকতেই পারে। তার লাইফষ্টাইল তো আর দশটা বাঙ্গালী নারীর মতো না। শো বিজে এসে সে হয়তো টিকে থাকার জন্য অনেক কিছুই করেছে। কিন্তু যারা তাকে ব্যবহার করেছে বা করে তারা কিন্তু ধরা ছোয়ার বাইরে। তাদের গায়ে কিন্তু কাঁদার ছিটেফোটাও লাগে নাই। সব দোষ একা পরীমনির।
যাই হোক। পরীমনি কি করেছে বা করে নাই সে নিয়ে কিছু বলবো না। কিছুদিন আগে ব্যারিষ্টারি পাশ করে ব্যারিষ্টারের বউ হওয়া দুই বাচ্চার মা একজন মহিলা আত্মহত্যা করেছিলেন। স্বামীর সাথে তার বনিবনা হচ্ছিলো না, স্বামী এক পরকীয়ায় জড়িয়েছিলেন। মহিলার বাচ্চা দুটিও ছিলো স্পেশাল চাইল্ড। ব্যারিষ্টারি পাশ করলেও মহিলা নিজের উপর এতটুকু আস্থা রাখতে পারেন নাই। স্বামীর সাথে ছাড়াছাড়ি হলে এই দুই বাচ্চা নিয়ে তিনি কিভাবে চলবেন সেটি ছিলো বড় চিন্তা। আবার তার বাবার পরিবার এই ছাড়াছাড়ি মেনে নিবে না সেটাও ছিলো আরেক চিন্তা। তার পরিবার তাকে পড়ালেখা শিখিয়েছে ঠিকই, কিন্তু শিড়দারা সোজা করে মাথা উচু করে দাড়াতে দেয় নাই, শেখায়ও নাই। বেশ ভাল রেজাল্ট করে ব্যারিষ্টার হলেও সে কেবল আরেক ব্যারিষ্টারের বউ হয়েছে মাত্র। শ্বশুরবাড়িতে যখন তার এই অবস্থা তখন ও সে তার পরিবার থেকে কোন সাপোর্ট পায় নাই বলেই মনে হয়। হয়তো সে জন্যেই ভাবতে বাধ্য হয়েছে ছাড়াছাড়ি হলে তো বাবা-মা মেনে নেবে না। আর তাই শেষতক তাকে ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়েই জীবন সাঙ্গ করতে হলো।
অথচ পরীমনি’কে দেখেন। বাবা-মা হীন একটা মেয়ে। মানুষ হয়েছেন নানার কাছে। এইচএসসি পাশ করে শোবিজে ঢুকে গেছে। একাধিক বিয়ে করলেও নানা কারণে বিয়েগুলো টিকে নাই। তারপরও নানা প্রতিকুলতা পার হয়ে টিকে আছে পরীমনি, মাথা উচু করে।
আপনি পরীমনীর চরিত্র নিয়ে প্রশ্ন করবেন নাকি যে মহিলা ডিভোর্স না দিয়ে আত্মহনন করে সব কিছুর জ্বালা জুড়ালো তাকে বাহবা দিবেন !?!
ফেসবুক মন্তব্য