পিকনিক

শেষবার কবে পিকনিকে গিয়েছিলাম মনে নাই। আব্বা-আম্মা চলে যাওয়ার পর থেকে অবশ্য পরিবারকেন্দ্রিক অনুষ্ঠান বা বাইরে ঘুরাঘুরি বেশী হচ্ছে। বন্ধুদের সাথে যোগাযোগ কম হচ্ছে, সেটা অবশ্য আমার কারণেই। পরিবার ছাড়া শেষবার ঘুরতে গিয়েছিলাম নাইকন ফ্যান ক্লাব আয়োজিত চাঁদপুর ফটোওয়াক। অবশ্য যাওয়া এবং আসা হয়েছিলো লঞ্চে। 

যাই হোক। এবার যাচ্ছি পিকনিকে। দুলাভাই উত্তরায় কিছু সংগঠনের সাথে যুক্ত। তার মধ্যে একটি হলো সিনিয়র সিটিজেন ফোরাম। সেক্টরে বসবাসরত অবসরপ্রাপ্ত / বয়স্কদের সংগঠন। তারাই আয়োজক। শুরুতে অবশ্য আপা-দুলাভাই এর যাওয়া্র কথা ছিলো কেবল। আমি চিন্তা করছিলাম সেদিন আমিও ঢাকার আশে-পাশে কোথাও ফটোওয়াকে যাব। ২/৩ দিন আগে আপা জানালো আমিও যেতে পারবো। শুরুতে কেবল সাহেব-বেগম যাওয়ার কথা ছিলো, পরে অনেকেই পুরো পরিবার নিয়ে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করায় আমারও যাওয়ার সূযোগ তৈরী হয়েছে। 

কোথায় যাচ্ছি আপাতত বলছি না। অবশ্য এই জায়গায় আগেও গিয়েছি। কিন্তু সেবার মনমত ফটো তোলা হয় নাই ওয়াইড এঙ্গেল লেন্স এর অভাবে। এবার ২০ মিমি ওয়াইড এঙ্গেল লেন্স আছে। সাথে হয়তো ৮৫ মিমি লেন্সও নিবো। আর নিবো ডিজেআই অসমো পকেট, টুকটাক ভিডিও করার জন্য। 

ঘুরে আসি। তারপর ফটো সহ জানাবো এই বুড়ো বয়সের পিকনিকের কথা। কাকতালিয় হলেও আমিও কিন্তু অলমোষ্ট সিনিয়র সিটিজেন।

ফেসবুক মন্তব্য

রিফাত জামিল ইউসুফজাই

জাতিতে বাঙ্গালী, তবে পূর্ব পূরুষরা নাকি এসেছিলো আফগানিস্তান থেকে - পাঠান ওসমান খানের নেতৃত্বে মোঘলদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে। লড়াই এ ওসমান খান নিহত এবং তার বাহিনী পরাজিত ও পর্যূদস্ত হয়ে ছড়িয়ে পড়ে টাঙ্গাইলের ২২ গ্রামে। একসময় কালিহাতি উপজেলার চারাণ গ্রামে থিতু হয় তাদেরই কোন একজন। এখন আমি থাকি বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায়। কোন এককালে শখ ছিলো শর্টওয়েভ রেডিও শোনা। প্রথম বিদেশ ভ্রমণে একমাত্র কাজ ছিলো একটি ডিজিটাল রেডিও কেনা। ১৯৯০ সালে ষ্টকহোমে কেনা সেই ফিলিপস ডি ২৯৩৫ রেডিও এখনও আছে। দিন-রাত রেডিও শুনে রিসেপশন রিপোর্ট পাঠানো আর QSL কার্ড সংগ্রহ করা - নেশার মতো ছিলো সেসময়। আস্তে আস্তে সেই শখ থিতু হয়ে আসে। জায়গা নেয় ছবি তোলা। এখনও শিখছি এবং তুলছি নানা রকম ছবি। কয়েক মাস ধরে শখ হয়েছে ক্র্যাফটিং এর। মূলত গয়না এবং নানা রকম কার্ড তৈরী, সাথে এক-আধটু স্ক্র্যাপবুকিং। সাথে মাঝে মধ্যে ব্লগ লেখা আর জাবর কাটা। এই নিয়েই চলছে জীবন বেশ।