পেন ড্রাইভ

ঘাটাইল গিয়ে ছবি তোলার পাশাপাশি কিছু পারিবারিক ছবি তুলেছিলাম আর ভিডিও করেছিলাম। কথা ছিলো এগুলোর কপি পাঠাতে হবে। সমস্যা হলো যাদেরকে পাঠাতে হবে তাদের কারো ল্যাপটপ / ডেস্কটপ পিসি নাই। সবাই মোবাইল ব্যবহারকারী। আবার ছবি / ভিডিও সেভ করে রাখারও সূযোগও সীমিত। ছবি মেসেঞ্জার এবং হোয়াটসঅ্যাপ দিয়ে পাঠানো গেলেও ভিডিও নিয়ে বিপদে পড়তে হলো। মেসেঞ্জারে ফাইল সাইজের লিমিট ২৫ মেগাবাইট। ভিডিও সবই 4K, ফাইল সাইজও অনেক। ১-২ মিনিটের ভিডিও পাঠাতে পারছিলাম না। হোয়াটসঅ্যাপ এ জানান দিলো সর্বোচ্চ ২.১ জিবির ফাইল পাঠানো যাবে।
 
শেষ পর্যন্ত ভিডিওগুলো 4K থেকে 480p তে নামিয়ে আনলাম। ফাইল সাইজও যথেষ্ঠ কমলো। কিন্তু পিসি থেকে হোয়াটসঅ্যাপ দিয়ে কোন ভিডিও গেলো না। শেষমেষ ২টা ভিডিও মোবাইলে নিয়ে তারপর পাঠাত পারলাম। কিন্তু ১৮ এবং ১৬ মিনিটের ভিডিও পাঠানোর পর দেখা গেলো দুটোই ৭:১১ মিনিটের হয়ে গেছে, বাকিটা নাই।
 
আপাতত তাই প্রাগৈতিহাসিক আমলের মতো পেন ড্রাইভে অথবা মেমরি কার্ডে কপি করে দিতে হবে।

ফেসবুক মন্তব্য

রিফাত জামিল ইউসুফজাই

জাতিতে বাঙ্গালী, তবে পূর্ব পূরুষরা নাকি এসেছিলো আফগানিস্তান থেকে - পাঠান ওসমান খানের নেতৃত্বে মোঘলদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে। লড়াই এ ওসমান খান নিহত এবং তার বাহিনী পরাজিত ও পর্যূদস্ত হয়ে ছড়িয়ে পড়ে টাঙ্গাইলের ২২ গ্রামে। একসময় কালিহাতি উপজেলার চারাণ গ্রামে থিতু হয় তাদেরই কোন একজন। এখন আমি থাকি বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায়। কোন এককালে শখ ছিলো শর্টওয়েভ রেডিও শোনা। প্রথম বিদেশ ভ্রমণে একমাত্র কাজ ছিলো একটি ডিজিটাল রেডিও কেনা। ১৯৯০ সালে ষ্টকহোমে কেনা সেই ফিলিপস ডি ২৯৩৫ রেডিও এখনও আছে। দিন-রাত রেডিও শুনে রিসেপশন রিপোর্ট পাঠানো আর QSL কার্ড সংগ্রহ করা - নেশার মতো ছিলো সেসময়। আস্তে আস্তে সেই শখ থিতু হয়ে আসে। জায়গা নেয় ছবি তোলা। এখনও শিখছি এবং তুলছি নানা রকম ছবি। কয়েক মাস ধরে শখ হয়েছে ক্র্যাফটিং এর। মূলত গয়না এবং নানা রকম কার্ড তৈরী, সাথে এক-আধটু স্ক্র্যাপবুকিং। সাথে মাঝে মধ্যে ব্লগ লেখা আর জাবর কাটা। এই নিয়েই চলছে জীবন বেশ।