গতকাল গিয়েছিলাম আইডিবি ভবনে, সিটি আইটি মেলা দেখতে। পুরাই ফালতু। একটাই ভাল ব্যাপার, কোন টিকেট ছিলো না। এরপর গেলাম এশিয়া আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায়, সেটা আরো ফালতু। লোকাল সেলাররাই ভারত, পাকিস্তানের জিনিসপত্র বিক্রি করতেছে।
শেষে গেলাম বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর মিউজিয়াম দেখতে। আগে কখনও যাওয়া হয় নাই। বেশ কিছু বিমান দেখা গেলো, সেসব সম্পর্কে জানা গেলো। তবে যারা বিভিন্ন দায়িত্বে ছিলেন তারা তেমন কিছু জানেন না। ফাইটার প্লেনে বোমা কোথায় থাকে জিজ্ঞাসা করে কোন উত্তর পাই নাই। একজন আবার মিসাইল / তেলের ট্যাংক গুলিয়ে ফেলেছিলেন। যাই হোক। পুরাতন কিছু বিমান, ইতিহাসের সাক্ষী যেমন – কিলো ফ্লাইট এর ২টি বিমান দেখে ভাল লেগেছে।
তবে ঘটনা হলো ঢুকতে প্রথমবার এন্ট্রি ফি ৫০ টাকা। কিছু কিছু বিমান এর ভিতরে ঢোকা যায় বা ককপিট দেখা যায়। সেগুলোতে উঠতে হলে আবার প্রতিটির জন্য ৩০ টাকার টিকেট করতে হয়। বাচ্চাদের জন্য যেসব রাইড আছে, সেগুলোতেও আলাদা করে টিকেট, প্রতিটির জন্য। সবশেষে গেলাম সি-১৩০ বি হারকিউলিস বিমান দেখতে। এই ট্রান্সপোর্টার বিমানের ভিতরে তারা একটি ক্যাফে চালু করেছে। ভিতরের ডেকোরেশন চমৎকার। কিন্ত এটি শুধূ দেখার জন্য ১০০ টাকার টিকেট। খাবার অর্ডার করলে আলাদা খরচ। আমি অর্ডার করেছিলাম রাইস বোল। রাইসের সাথে ভেজিটেবল এবং ২টা চিকেন ফ্রাই থাকে। দাম ২৭০ টাকা। তবে ২৭০ + ১০০ = ৩৭০ টাকা একটু বেশী মনে হয়েছে। রাইসের পরিমানও কম মনে হয়েছে, তবে চিকেন ফ্রাই ভাল ছিলো। সার্ভিস ভাল ছিলো।
বিকালে পরিবার নিয়ে বেড়ানোর জন্য ভাল জায়গা। ভিতরে বসার জায়গা আছে, খাবারের ষ্টল আছে। আপনাকে যে হারকিউলিস ক্যাফেতেই খেতে হবে এমন কোন কথা নেই। কোন বিমানে না উঠে কেবল এন্ট্রি ফি দিয়েই ঘুরে আসতে পারেন।
বাই দ্য ওয়ে, গেটেই জিজ্ঞাসা করেছিলাম ক্যামেরা নিয়ে ঢোকা যাবে নাকি। ডিএসএলআর ক্যামেরা এলাউ করে, ছবি তোলায় রেষ্ট্রিকশন নেই, তবে ভিডিও করা যাবে না। ভিতরে দেখলাম লোকজন মোবাইল ক্যামেরায় ছবি / ভিডিও সবই করছে। আমি ক্যামেরায় কোন ভিডিও করি নাই।
ছবি : রিয়েলমি সি৫৫ এ তোলা
ফেসবুক মন্তব্য