বুলবুল আপা

বুলবুল আপা দুলাভাই এর বড় বোন। এখন বয়স মনে হয় ৯৫+ হবে। চোখে ঝাপসা দেখেন, তবে শারীরিকভাবে এখনও সক্ষম। সারা বাড়ী টুকটুক করে হেটে বেড়ান আর আর নানা কাজ করেন। সবাই’কেই অত্যন্ত স্নেহ করেন, খোঁজ-খবর করেন।
 
গতকাল ঘাটাইল থেকে বুলবুল আপা আমাদের সাথেই ঢাকায় ফিরেছেন। আজ কিছুক্ষণ আগে আমার রুমে এসেছিলেন। কথা বলার ফাঁকে হাতে টাকা গুঁজে দিলেন। বললেন ঈদের সালামী।
 
আমার কেন জানি আব্বা-আম্মার কথা খূব মনে পড়ছিলো তখন। এই বয়েসে মাতৃসম এই মহিলার কাছ থেকে ঈদের সালামী পেয়ে চোখটা কেন যেন ভিজে উঠলো।

ফেসবুক মন্তব্য

রিফাত জামিল ইউসুফজাই

জাতিতে বাঙ্গালী, তবে পূর্ব পূরুষরা নাকি এসেছিলো আফগানিস্তান থেকে - পাঠান ওসমান খানের নেতৃত্বে মোঘলদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে। লড়াই এ ওসমান খান নিহত এবং তার বাহিনী পরাজিত ও পর্যূদস্ত হয়ে ছড়িয়ে পড়ে টাঙ্গাইলের ২২ গ্রামে। একসময় কালিহাতি উপজেলার চারাণ গ্রামে থিতু হয় তাদেরই কোন একজন। এখন আমি থাকি বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায়। কোন এককালে শখ ছিলো শর্টওয়েভ রেডিও শোনা। প্রথম বিদেশ ভ্রমণে একমাত্র কাজ ছিলো একটি ডিজিটাল রেডিও কেনা। ১৯৯০ সালে ষ্টকহোমে কেনা সেই ফিলিপস ডি ২৯৩৫ রেডিও এখনও আছে। দিন-রাত রেডিও শুনে রিসেপশন রিপোর্ট পাঠানো আর QSL কার্ড সংগ্রহ করা - নেশার মতো ছিলো সেসময়। আস্তে আস্তে সেই শখ থিতু হয়ে আসে। জায়গা নেয় ছবি তোলা। এখনও শিখছি এবং তুলছি নানা রকম ছবি। কয়েক মাস ধরে শখ হয়েছে ক্র্যাফটিং এর। মূলত গয়না এবং নানা রকম কার্ড তৈরী, সাথে এক-আধটু স্ক্র্যাপবুকিং। সাথে মাঝে মধ্যে ব্লগ লেখা আর জাবর কাটা। এই নিয়েই চলছে জীবন বেশ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *