ভিউজ

ইউটিউবে ভিউজ কেবল কমছেই। আমি অবশ্য একেবারেই নাদান ইউটিউবার। সেরকম ভাবে ভিডিও ধারণ, এডিটিং বা এসইও করতে পারিনা। মোদ্দা কথা হলো ভিডিও সংক্রান্ত জ্ঞান একেবারেই কম। ফলে ঠিক কি করা দরকার সেটি বুঝতেছি না। ফলে আজকে এটা কালকে সেটা এরকমভাবেই চলছে। ফলাফল ভিউজ কেবল কমছেই।

সেদিন এক ভদ্রলোক ইউটিউবের এক ভিডিও’তে বললেন নিয়মিত ভিডিও দেয়া জরুরী। বিশেষ করে মিনি ভ্লগ টাইপ ভিডিও, সেই সাথে রেগুলার ভিডিও এবং শর্টস। ৫/৬ মাস এভাবে নিয়মিত করে যেতে পারলে ভিউজ ধীরে ধীরে বাড়বে। 

আমিও অনেকদিন যাবত ভাবছিলাম কি করা যায়। তবে রেগুলার মানে প্রতিদিন একটা করে ভিডিও দেয়া খূবই কঠিন কাজ। ভিডিও করা, তারপর এডিট, এরপর আপলোড – কাজ কিন্তু কম না। আবার ভিডিও করার জন্য নিত্য নতুন আইডিয়া বের করাও বেশ কঠিন। আমার আবার কথা বলার ষ্টাইল ভাল না। কেমন যেন যান্ত্রিকভাবে কথা বলি ক্যামেরার সামনে, কোন নড়াচড়া নাই। আবার কথা বলতে গেলে মাঝে মধ্যে আটকে যাই। সেই সাথে উচ্চারণও ভুল হয়ে যায়। তখন আবার নতুন করে রেকর্ডিং শুরু করতে হয়। এক-দেড় মিনিটের ভিডিও করতে গেলেও দেখা যায় ৪/৫ বার আরো বেশীবার রেকর্ডিং করা লাগে। তবে এই প্র্যাকটিসের ভাল দিক হলো এই সমস্যাগুলো হয়তো ধীরে ধীরে কমে আসবে। 

ভাবতেছি শুরু করেই দিবো। দেখা যাক শেষ পর্যন্ত কি ঘটে ভবিষ্যতে।

ভাল থাকবেন। শুভেচ্ছা নিরন্তর।

ফেসবুক মন্তব্য

রিফাত জামিল ইউসুফজাই

জাতিতে বাঙ্গালী, তবে পূর্ব পূরুষরা নাকি এসেছিলো আফগানিস্তান থেকে - পাঠান ওসমান খানের নেতৃত্বে মোঘলদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে। লড়াই এ ওসমান খান নিহত এবং তার বাহিনী পরাজিত ও পর্যূদস্ত হয়ে ছড়িয়ে পড়ে টাঙ্গাইলের ২২ গ্রামে। একসময় কালিহাতি উপজেলার চারাণ গ্রামে থিতু হয় তাদেরই কোন একজন। এখন আমি থাকি বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায়। কোন এককালে শখ ছিলো শর্টওয়েভ রেডিও শোনা। প্রথম বিদেশ ভ্রমণে একমাত্র কাজ ছিলো একটি ডিজিটাল রেডিও কেনা। ১৯৯০ সালে ষ্টকহোমে কেনা সেই ফিলিপস ডি ২৯৩৫ রেডিও এখনও আছে। দিন-রাত রেডিও শুনে রিসেপশন রিপোর্ট পাঠানো আর QSL কার্ড সংগ্রহ করা - নেশার মতো ছিলো সেসময়। আস্তে আস্তে সেই শখ থিতু হয়ে আসে। জায়গা নেয় ছবি তোলা। এখনও শিখছি এবং তুলছি নানা রকম ছবি। কয়েক মাস ধরে শখ হয়েছে ক্র্যাফটিং এর। মূলত গয়না এবং নানা রকম কার্ড তৈরী, সাথে এক-আধটু স্ক্র্যাপবুকিং। সাথে মাঝে মধ্যে ব্লগ লেখা আর জাবর কাটা। এই নিয়েই চলছে জীবন বেশ।