মনে পড়ে

সম্প্রতি প্রয়াত দুইজন বাঙ্গালী গায়ক’কে নিয়ে গল্প প্রচলিত হয়েছে বা শোনা যাচ্ছে। তবে এরকম কিছু গল্প ছোটবেলায় আমিও শুনেছিলাম অন্য দু’জন গায়ক সম্পর্কে। কোথায় পড়েছিলাম বা শুনেছিলাম মনে নাই
 
১. এলভিস প্রিসলি’র নাম তখনও কেউ জানে না। একদিন কোন এক সমুদ্র সৈকতে একাকী গিটার বাজিয়ে গান গাইছিলেন তিনি। বলা চলে একবারে গানের ভিতর ডুবে গিয়েছিলেন। একসময় গান শেষ হলো। এলভিস ফেরার জন্য ঘুরলেন। একি !!! পিছনে তো জনসমুদ্র।
বাকিটা ইতিহাস।
 
২. ঘটনা আরেক টগবগে তরুণ’কে নিয়ে। গিটার বাজিয়ে গান করেন। কিন্তু মনে একরাশ দুঃখ। তার গান কোন রেকর্ড কোম্পানি প্রকাশ করছে না। শেষ পর্যন্ত একজনের সুপারিশে এক রেকর্ড কোম্পানিতে চাকরি হলো। সারাদিন রেকর্ডিং শেষে তার কাজের শুরু। পুরো ফ্লোর পরিস্কার করার দায়িত্ব তার। সেটাই করেন। মাঝে মধ্যে ফ্লোর পরিস্কারের মপ’টাকেই মাইক্রোফোন বানিয়ে গান গান কাজের ফাঁকে। একদিন এভাবে গান গাওয়ার সময় ম্যানেজারের চোখে পড়ে গেলেন। এরপর আর তাকে পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি।
তরুণের নাম জন বন জোভি।

ফেসবুক মন্তব্য

রিফাত জামিল ইউসুফজাই

জাতিতে বাঙ্গালী, তবে পূর্ব পূরুষরা নাকি এসেছিলো আফগানিস্তান থেকে - পাঠান ওসমান খানের নেতৃত্বে মোঘলদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে। লড়াই এ ওসমান খান নিহত এবং তার বাহিনী পরাজিত ও পর্যূদস্ত হয়ে ছড়িয়ে পড়ে টাঙ্গাইলের ২২ গ্রামে। একসময় কালিহাতি উপজেলার চারাণ গ্রামে থিতু হয় তাদেরই কোন একজন। এখন আমি থাকি বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায়। কোন এককালে শখ ছিলো শর্টওয়েভ রেডিও শোনা। প্রথম বিদেশ ভ্রমণে একমাত্র কাজ ছিলো একটি ডিজিটাল রেডিও কেনা। ১৯৯০ সালে ষ্টকহোমে কেনা সেই ফিলিপস ডি ২৯৩৫ রেডিও এখনও আছে। দিন-রাত রেডিও শুনে রিসেপশন রিপোর্ট পাঠানো আর QSL কার্ড সংগ্রহ করা - নেশার মতো ছিলো সেসময়। আস্তে আস্তে সেই শখ থিতু হয়ে আসে। জায়গা নেয় ছবি তোলা। এখনও শিখছি এবং তুলছি নানা রকম ছবি। কয়েক মাস ধরে শখ হয়েছে ক্র্যাফটিং এর। মূলত গয়না এবং নানা রকম কার্ড তৈরী, সাথে এক-আধটু স্ক্র্যাপবুকিং। সাথে মাঝে মধ্যে ব্লগ লেখা আর জাবর কাটা। এই নিয়েই চলছে জীবন বেশ।