লিখতে চাই অনেক কিছু, কিন্তু পারি না। কি একটা ভয় যেন গ্রাস করে। হাত থেমে যায়। বলছিলাম ধেশের বর্তমান পরিস্থিতির কথা। চারপাশে অস্থিরতা, অনিশ্চয়তা আর একটা চাপা আতঙ্ক যেন প্রতিনিয়ত শ্বাসরোধ করে। কোথাও যেন কথা বলার স্বাধীনতা নেই, মনের ভাব প্রকাশের সুযোগ নেই। কেউ কিছু বললেই চোখ রাঙানো, হুমকি কিংবা নিরুদ্দেশ হয়ে যাওয়ার গল্প শোনা যায়। তাই লেখার আগে হাত কেঁপে ওঠে, বুক ধড়ফড় করে। মনের মধ্যে বারবার দ্বন্দ্ব চলে—লিখব, না লিখব না? দায়িত্ববোধের তাড়নায় কলম ধরতে চাই, কিন্তু নিরাপত্তাহীনতার ভয়ে থেমে যাই। আমরা যারা সাধারণ মানুষ, তারা শুধুই দর্শক—ঘটনার নীরব সাক্ষী। অথচ ভিতরে ভিতরে পুড়ে মরছি, কিছু বলতে পারছি না। এই নীরবতা একদিন হয়তো ইতিহাস হয়ে উঠবে, কিন্তু ততদিনে হয়তো অনেক দেরি হয়ে যাবে। তবুও লিখতে চাই, অন্তত সত্যিটা যেন লিপিবদ্ধ থাকে—আজ নয়তো কাল, কেউ একজন পড়বে, জানবে, বুঝবে—এই সময়টা কতটা অনিশ্চয়তার।
লিখতে চাই…
রিফাত জামিল ইউসুফজাই
July 4, 2025
রিফাত জামিল ইউসুফজাই
জাতিতে বাঙ্গালী, তবে পূর্ব পূরুষরা নাকি এসেছিলো আফগানিস্তান থেকে - পাঠান ওসমান খানের নেতৃত্বে মোঘলদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে। লড়াই এ ওসমান খান নিহত এবং তার বাহিনী পরাজিত ও পর্যূদস্ত হয়ে ছড়িয়ে পড়ে টাঙ্গাইলের ২২ গ্রামে। একসময় কালিহাতি উপজেলার চারাণ গ্রামে থিতু হয় তাদেরই কোন একজন। এখন আমি থাকি বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায়। কোন এককালে শখ ছিলো শর্টওয়েভ রেডিও শোনা। প্রথম বিদেশ ভ্রমণে একমাত্র কাজ ছিলো একটি ডিজিটাল রেডিও কেনা। ১৯৯০ সালে ষ্টকহোমে কেনা সেই ফিলিপস ডি ২৯৩৫ রেডিও এখনও আছে। দিন-রাত রেডিও শুনে রিসেপশন রিপোর্ট পাঠানো আর QSL কার্ড সংগ্রহ করা - নেশার মতো ছিলো সেসময়। আস্তে আস্তে সেই শখ থিতু হয়ে আসে। জায়গা নেয় ছবি তোলা। এখনও শিখছি এবং তুলছি নানা রকম ছবি। কয়েক মাস ধরে শখ হয়েছে ক্র্যাফটিং এর। মূলত গয়না এবং নানা রকম কার্ড তৈরী, সাথে এক-আধটু স্ক্র্যাপবুকিং। সাথে মাঝে মধ্যে ব্লগ লেখা আর জাবর কাটা। এই নিয়েই চলছে জীবন বেশ।

ফেসবুক মন্তব্য