লোভ

বাংলাদেশীদের বর্তমান পরিচয় কি !?!
 
দূর্নীতির কথা তো আগেও শুনেছি, এখনও শুনছি, ভবিষ্যতেও শুনবো ফর শিওর।
 
কিন্তু ব্যাপক দূর্নীতি করার সূযোগ পায় গুটিকয়েক লোক। আর সাধারণ লোকজন কি করে ? তারা ওজনে কম দেয়, খারাপ জিনিস, নষ্ট জিনিস দেয়। যারা জিনিস বিক্রি করে না যেমন আপনার বাসায় কাজ করে এমন কেউ – তারা কাজে ফাঁকি দেয়। যা করার কথা সেটা করে না কিংবা মাসের মধ্যে ৪/৫ দিন কাজে আসে কিন্তু বেতন পুরাটাই নিয়ে যায়।
 
এর বাইরে ব্যাপক এক জনগোষ্ঠী প্রচন্ড লোভী। তারা কোন কাজ না করে ঘরে বসেই লাখ লাখ কোটি কোটি টাকা কামাতে আগ্রহী। এই পথটি দেখিয়েছিলো ডেসটিনি / ইভ্যালি। মূলা ঝুলিয়ে কোটি কোটি টাকা লোপাট করে দিয়েছে। ডেসটিনি / ইভ্যালির উদ্যোক্তারা জেলে গিয়েছে কিন্তু টাকা এখনও অধরা।
 
ডেসটিনি / ইভ্যালির উদাহরণ চোখের সামনে থাকতেও আবার লোকজন এই লোভের বশবর্তী হয়ে লাখ লাখ টাকা হারিয়েছে। লাখ লাখ টাকা (একজনের ৬০ লাখ টাকা গেছে) দিয়ে ঘরে বসে কোটি টাকা আয় করার লোভনীয় অফার আসলে আমরা বাঙ্গালীরা ঠেলতে পারি না। আরো আছে ঝণ করা আর ডেটিং এপ।
 
হাজার বছর পরে যদি বাংলাদেশের মানুষের সম্পর্কে কোন কিছু লেখা হয় তবে সেখানে নিশ্চয়ই লেখা থাকবে
“অতি লোভী জাতি”

ফেসবুক মন্তব্য

রিফাত জামিল ইউসুফজাই

জাতিতে বাঙ্গালী, তবে পূর্ব পূরুষরা নাকি এসেছিলো আফগানিস্তান থেকে - পাঠান ওসমান খানের নেতৃত্বে মোঘলদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে। লড়াই এ ওসমান খান নিহত এবং তার বাহিনী পরাজিত ও পর্যূদস্ত হয়ে ছড়িয়ে পড়ে টাঙ্গাইলের ২২ গ্রামে। একসময় কালিহাতি উপজেলার চারাণ গ্রামে থিতু হয় তাদেরই কোন একজন। এখন আমি থাকি বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায়। কোন এককালে শখ ছিলো শর্টওয়েভ রেডিও শোনা। প্রথম বিদেশ ভ্রমণে একমাত্র কাজ ছিলো একটি ডিজিটাল রেডিও কেনা। ১৯৯০ সালে ষ্টকহোমে কেনা সেই ফিলিপস ডি ২৯৩৫ রেডিও এখনও আছে। দিন-রাত রেডিও শুনে রিসেপশন রিপোর্ট পাঠানো আর QSL কার্ড সংগ্রহ করা - নেশার মতো ছিলো সেসময়। আস্তে আস্তে সেই শখ থিতু হয়ে আসে। জায়গা নেয় ছবি তোলা। এখনও শিখছি এবং তুলছি নানা রকম ছবি। কয়েক মাস ধরে শখ হয়েছে ক্র্যাফটিং এর। মূলত গয়না এবং নানা রকম কার্ড তৈরী, সাথে এক-আধটু স্ক্র্যাপবুকিং। সাথে মাঝে মধ্যে ব্লগ লেখা আর জাবর কাটা। এই নিয়েই চলছে জীবন বেশ।