ষ্টকহোম সিনড্রোম

ষ্টকহোম সিনড্রোম হল একটি মানসিক অবস্থা যেখানে অপহরণ বা নির্যাতনের শিকার ব্যক্তি অপহরণকারী বা নির্যাতনকারীর প্রতি সহানুভূতিশীল বা ইতিবাচক অনুভূতি গড়ে তোলে। এটি প্রাথমিকভাবে ঘটে যখন অপহরণকারী বা শিকার এবং অপরাধীর মধ্যে একটি গভীর মানসিক বন্ধন তৈরি হয়, যা মূলত বেঁচে থাকার একটি মনস্তাত্ত্বিক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা।

এই ক্ষেত্রে, অপহরণকারী অপরাধীর প্রতি সহানুভূতিশীল হতে পারে এবং এমনকি আইন প্রয়োগকারীর খোঁজ না করে বা নিজেকে ছেড়ে দেওয়ার পরিবর্তে অপরাধীকে রক্ষা করার চেষ্টা করতে পারে।

ষ্টকহোম সিনড্রোম সিন্ড্রোমের প্রথম উদাহরণ ১৯৭৩ সালে সুইডেনের স্টকহোমে একটি ব্যাংক ডাকাতির সময় ঘটেছিল। ছয় দিন ধরে জিম্মি থাকা কয়েকজন ব্যাংক কর্মচারী পরে অপহরণকারীদের প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করে এবং তাদের রক্ষা করার চেষ্টা করে। পরবর্তীতে এই অবস্থার নাম দেওয়া হয় ‘ষ্টকহোম সিনড্রোম’।

ষ্টকহোম সিনড্রোমের কিছু সাধারণ লক্ষণ:

  • অপরাধীর প্রতি সহানুভূতি: ভিকটিম তাদের নির্যাতনকারীকে ভালো মানুষ হিসেবে দেখতে শুরু করে।
  • বাইরের লোকদের অবিশ্বাস: ভিকটিম আইন প্রয়োগকারী সংস্থা বা সাহায্যের প্রস্তাবদাতাদের ওপর সন্দেহ করতে পারে।
  • নিজের বেঁচে থাকার জন্য অপরাধীর সঙ্গে মানিয়ে চলা: ভিকটিম তাদের জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অপরাধীর সাথে মানসিক বন্ধনে জড়িয়ে পড়তে পারে।

এই মানসিক অবস্থা সাধারণত এমন পরিস্থিতিতে দেখা যায় যেখানে ভয়, চাপ, এবং অপহৃত ব্যক্তির স্বাধীনতার সীমাবদ্ধতা থাকে।

ফেসবুক মন্তব্য

রিফাত জামিল ইউসুফজাই

জাতিতে বাঙ্গালী, তবে পূর্ব পূরুষরা নাকি এসেছিলো আফগানিস্তান থেকে - পাঠান ওসমান খানের নেতৃত্বে মোঘলদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে। লড়াই এ ওসমান খান নিহত এবং তার বাহিনী পরাজিত ও পর্যূদস্ত হয়ে ছড়িয়ে পড়ে টাঙ্গাইলের ২২ গ্রামে। একসময় কালিহাতি উপজেলার চারাণ গ্রামে থিতু হয় তাদেরই কোন একজন। এখন আমি থাকি বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায়। কোন এককালে শখ ছিলো শর্টওয়েভ রেডিও শোনা। প্রথম বিদেশ ভ্রমণে একমাত্র কাজ ছিলো একটি ডিজিটাল রেডিও কেনা। ১৯৯০ সালে ষ্টকহোমে কেনা সেই ফিলিপস ডি ২৯৩৫ রেডিও এখনও আছে। দিন-রাত রেডিও শুনে রিসেপশন রিপোর্ট পাঠানো আর QSL কার্ড সংগ্রহ করা - নেশার মতো ছিলো সেসময়। আস্তে আস্তে সেই শখ থিতু হয়ে আসে। জায়গা নেয় ছবি তোলা। এখনও শিখছি এবং তুলছি নানা রকম ছবি। কয়েক মাস ধরে শখ হয়েছে ক্র্যাফটিং এর। মূলত গয়না এবং নানা রকম কার্ড তৈরী, সাথে এক-আধটু স্ক্র্যাপবুকিং। সাথে মাঝে মধ্যে ব্লগ লেখা আর জাবর কাটা। এই নিয়েই চলছে জীবন বেশ।