ষ্টেন্টিং

ঘাটাইলে বেড়াতে গেলে দুলাভাই এর বোনের বাসায় অতিথি হই আমরা। সেই বোনের স্বামী এবং বড় ছেলে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে অকালেই চলে গেছে। বাড়ীর কর্তা এখন ছোট ছেলে। স্ত্রী, দুই মেয়ে আর মা’কে নিয়ে সংসার। একমাত্র ছোট বোন ঢাকাতে থাকে স্বামী আর একমাত্র মেয়ে’কে নিয়ে।
 
এবারের ঈদে ঘাটাইল গিয়ে প্রথম যে খবর পেলাম তা হলো সেই ভাগ্নে রেগুলার চেকআপ করতে গিয়ে জেনেছে তার অবস্থা নাকি অনেকটাই ‘খাদের কিনারা’য় দাঁড়িয়ে থাকার মতো। ইটিটি রেজাল্ট নাকি খূব একটা ভাল ছিলো না। ডাক্তারের এরকম কথায় সে অনেকটাই মুষড়ে পড়েছিলো। দুলাভাই তাকে পরামর্শ দিলো ঢাকায় এসে ডাক্তার দেখানোর।
 
দুইদিন হলো সে ঢাকায়। আজ (৩০শে জুন, ২০২৪ বিকেল বেলা) কিছুক্ষণ আগে তার এনজিওগ্রাম হয়েছে। ফোনে খবর পেলাম ব্লক আছে, তবে কয়টা বা কি করতে হবে সে সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানতে পারি নাই। তবে আমি ভাবতেছি অন্য কথা। যে ভাবে সব কম বয়েসী লোকজন এসব রোগে আক্রান্ত হচ্ছে সেটি আসলেই ভয়াবহ। এই ভাগ্নে আমার চাইতে বছরের দশেকের ছোট হবে, মানে তার বয়স ৫০ এর কম।
 
গতকাল গিয়েছিলাম ইউনাইটেড হসপিটালে। ভাগ্নের ষ্টেন্টিং (রিং লাগানো) সফলভাবেই শেষ হয়েছে। ২টা ব্লক ছিলো, ২টাই ১০০%। টাঙ্গাইল এর ডাক্তার সাহেব এর ডায়াগনসিস সঠিক ছিলো, যদিও ‘খাদের কিনারা’য় আছেন বলাতে একটু রূঢ় মনে হয়েছিলো। ইউনাইটেড এর ডাক্তার সাহেব এই কথা শুনে বলেছিলেন খাদটা অনেক গভীর ছিলো। 
 
আজ ফেরার পথে ড্রাইভার সাহেব জিজ্ঞেস করলেন খরচ কেমন লাগলো। উত্তর শুনে বললেন আমাদের গরীবদের কি অবস্থা হবে এসব রোগ হলে। আমিও ভাবছিলাম ইউনাইটেড হসপিটালে হয়তো খরচ একটু বেশী, কিন্তু অন্য জায়গায় যে খূব কম হবে তাতো না।
 
আমার নিজের যে কি অবস্থা, তাই বা কে জানে।

ফেসবুক মন্তব্য

রিফাত জামিল ইউসুফজাই

জাতিতে বাঙ্গালী, তবে পূর্ব পূরুষরা নাকি এসেছিলো আফগানিস্তান থেকে - পাঠান ওসমান খানের নেতৃত্বে মোঘলদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে। লড়াই এ ওসমান খান নিহত এবং তার বাহিনী পরাজিত ও পর্যূদস্ত হয়ে ছড়িয়ে পড়ে টাঙ্গাইলের ২২ গ্রামে। একসময় কালিহাতি উপজেলার চারাণ গ্রামে থিতু হয় তাদেরই কোন একজন। এখন আমি থাকি বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায়। কোন এককালে শখ ছিলো শর্টওয়েভ রেডিও শোনা। প্রথম বিদেশ ভ্রমণে একমাত্র কাজ ছিলো একটি ডিজিটাল রেডিও কেনা। ১৯৯০ সালে ষ্টকহোমে কেনা সেই ফিলিপস ডি ২৯৩৫ রেডিও এখনও আছে। দিন-রাত রেডিও শুনে রিসেপশন রিপোর্ট পাঠানো আর QSL কার্ড সংগ্রহ করা - নেশার মতো ছিলো সেসময়। আস্তে আস্তে সেই শখ থিতু হয়ে আসে। জায়গা নেয় ছবি তোলা। এখনও শিখছি এবং তুলছি নানা রকম ছবি। কয়েক মাস ধরে শখ হয়েছে ক্র্যাফটিং এর। মূলত গয়না এবং নানা রকম কার্ড তৈরী, সাথে এক-আধটু স্ক্র্যাপবুকিং। সাথে মাঝে মধ্যে ব্লগ লেখা আর জাবর কাটা। এই নিয়েই চলছে জীবন বেশ।