সকালের নাশতা

গতকাল পূজার ছবি তুলবো বলে বাসা থেকে বের হয়েছিলাম সকাল সকাল। বাইরেই নাশতা করার ইচ্ছা ছিলো। পূজা মন্ডপে গিয়ে যখন দেখলাম বেশী সকালে চলে এসেছি, তখন বের হলাম নাশতা করার জন্য। হাটতে হাটতে বিজিএমইএ ভবন, তারপর শান্ত-মারিয়াম পার হয়ে যখন ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটির কাছাকাছি তখন উল্টো দিকে বেশ কিছু টং দোকান টাইপের দোকান দেখলাম। কিন্তু কোনটাই তখন পর্যন্ত খুলে নাই। একমাত্র ষ্টার কিচেন খোলা দেখা গেলো।

ভিতরে বেশ খোলামেলা জায়গা। গ্রাহক তেমন নাই। হয়তো ছুটির দিন বলে। টেবিলের উপর দেখলাম মেনু আছে। ২টা আইটেম খোঁজ করে পেলাম না। অর্ডার করলাম ২ পরোটা, সবজি ভাজি, ডিম পোঁচ। সাথে এক বোতল পানি আর শেষে চা। ষ্টিলের প্লেট, গ্লাস ব্যবহার করে দেখলাম। খাবার সাধারণ। তবে ভাজির পরিমান কম মনে হলো। ২টা পরোটা কোন রকমে চলে। আমি পরে আরেকটা পরোটা অর্ডার করলাম ডিম দিয়ে খাওয়ার জন্য। বিল দিলাম ১১৫ টাকা।

গুগল ম্যাপে রেষ্টুরেন্ট নাই এই জায়গায়। আমি ছবির জিপিএস ইনফো দিয়ে মার্ক করেছি। ঠিকানা দিয়ে Add Place করতে গেলে মিরপুরের একই নামের আরেক রেষ্টুরেন্ট দেখায়। সেটারও ঠিকানা একই রকম, কেবল মিরপুরের ঠিকানায় ব্লক ডি, মিরপুর আর এটাতে সেক্টর ১৭, উত্তরা।

ঠিকানা : বাসা ‌১, রোড ১/এ, সেক্টর ১৭, উ্তরা, ঢাকা ১২৩০ (এভেনিউ ৬ মেইন রোডেই পাবেন)। বিপরীত দিকে শান্ত মারিয়াম আর ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি আছে। একটু দুরেই বিজিএমইএ ভবন।

ভাল থাকুন নিরন্তর।

ফেসবুক মন্তব্য

রিফাত জামিল ইউসুফজাই

জাতিতে বাঙ্গালী, তবে পূর্ব পূরুষরা নাকি এসেছিলো আফগানিস্তান থেকে - পাঠান ওসমান খানের নেতৃত্বে মোঘলদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে। লড়াই এ ওসমান খান নিহত এবং তার বাহিনী পরাজিত ও পর্যূদস্ত হয়ে ছড়িয়ে পড়ে টাঙ্গাইলের ২২ গ্রামে। একসময় কালিহাতি উপজেলার চারাণ গ্রামে থিতু হয় তাদেরই কোন একজন। এখন আমি থাকি বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায়। কোন এককালে শখ ছিলো শর্টওয়েভ রেডিও শোনা। প্রথম বিদেশ ভ্রমণে একমাত্র কাজ ছিলো একটি ডিজিটাল রেডিও কেনা। ১৯৯০ সালে ষ্টকহোমে কেনা সেই ফিলিপস ডি ২৯৩৫ রেডিও এখনও আছে। দিন-রাত রেডিও শুনে রিসেপশন রিপোর্ট পাঠানো আর QSL কার্ড সংগ্রহ করা - নেশার মতো ছিলো সেসময়। আস্তে আস্তে সেই শখ থিতু হয়ে আসে। জায়গা নেয় ছবি তোলা। এখনও শিখছি এবং তুলছি নানা রকম ছবি। কয়েক মাস ধরে শখ হয়েছে ক্র্যাফটিং এর। মূলত গয়না এবং নানা রকম কার্ড তৈরী, সাথে এক-আধটু স্ক্র্যাপবুকিং। সাথে মাঝে মধ্যে ব্লগ লেখা আর জাবর কাটা। এই নিয়েই চলছে জীবন বেশ।