সোশ্যাল মিডিয়া

সোশ্যাল মিডিয়া কি আমাদের আনসোশ্যাল করে দিচ্ছে ?
ইদানিং কারো বাসায় বেড়াতে গেলে বা কেউ বাসায় বেড়াতে আসলে শুরুতে হাসি মুখে কুশলাদি জিজ্ঞাসার পর নাশতা ইত্যাদির পাট চুকিয়ে কিছুক্ষণ হয়তো আলাপচারিতা চলে। এরপরই হয়তো দেখা যায় অভ্যাগত কেউ অথবা বাসার কেউ মোবাইল নিয়ে বুদ হয়ে যান। যে যার মোবাইল নিয়েই তারা ব্যস্ত হয়ে যান। ব্যতিক্রম অবশ্য মহিলারা এবং বাচ্চারা। মহিলারা হয়তো নানা বিষয়ে আলাপে মাতেন নিজেরা। বাচ্চারা হয়তো সবাই মিলে কম্পিউটার / ট্যাব / মোবাইল ফোনে গেম খেলে অথবা অন্য কিছু করে।

সমস্যা হলো পুরুষদের নিয়ে। তারাই বেড়াতে গেলে মোবাইল নিয়ে মাতেন বেশী। বিষয়টি যে দৃষ্টিকটু সেটাও মনে হয় তাদের মাথায় খেলে না। আমি নিজেও বেশ কয়েকবার এরকম পরিস্থিতিতে পড়েছি। অনেক সময় বাধ্য হয়েই নিজের মোবাইল বের করে ব্যস্ত হওয়ার চেষ্টা করেছি। পরিস্থিতি এমন যে কিছু যে বলবো সে অবস্থাও থাকে না।

দিন দিন মনে হয় এই প্রবণতা বাড়ছে।

ফেসবুক মন্তব্য

রিফাত জামিল ইউসুফজাই

জাতিতে বাঙ্গালী, তবে পূর্ব পূরুষরা নাকি এসেছিলো আফগানিস্তান থেকে - পাঠান ওসমান খানের নেতৃত্বে মোঘলদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে। লড়াই এ ওসমান খান নিহত এবং তার বাহিনী পরাজিত ও পর্যূদস্ত হয়ে ছড়িয়ে পড়ে টাঙ্গাইলের ২২ গ্রামে। একসময় কালিহাতি উপজেলার চারাণ গ্রামে থিতু হয় তাদেরই কোন একজন। এখন আমি থাকি বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায়। কোন এককালে শখ ছিলো শর্টওয়েভ রেডিও শোনা। প্রথম বিদেশ ভ্রমণে একমাত্র কাজ ছিলো একটি ডিজিটাল রেডিও কেনা। ১৯৯০ সালে ষ্টকহোমে কেনা সেই ফিলিপস ডি ২৯৩৫ রেডিও এখনও আছে। দিন-রাত রেডিও শুনে রিসেপশন রিপোর্ট পাঠানো আর QSL কার্ড সংগ্রহ করা - নেশার মতো ছিলো সেসময়। আস্তে আস্তে সেই শখ থিতু হয়ে আসে। জায়গা নেয় ছবি তোলা। এখনও শিখছি এবং তুলছি নানা রকম ছবি। কয়েক মাস ধরে শখ হয়েছে ক্র্যাফটিং এর। মূলত গয়না এবং নানা রকম কার্ড তৈরী, সাথে এক-আধটু স্ক্র্যাপবুকিং। সাথে মাঝে মধ্যে ব্লগ লেখা আর জাবর কাটা। এই নিয়েই চলছে জীবন বেশ।