হারানো বিজ্ঞপ্তি

সকালে তখন বিছানা ছাড়ি নাই। হাতের স্মার্ট ওয়াচ ভাইব্রেট করলো। হাত ঘুড়িয়ে দেখি ১০% চার্জ আছে বলে জানান দিলো। আরো কিছুক্ষণ পর উঠে বাথরুমে যাওয়ার আগে চার্জে দিবো বলে ক্যাবল খূঁজলাম। কিন্তু পেলাম না। সাধারনত একটা কৌটায় ছোটখাট জিনিসগুলি রাখি। বাথরুম থেকে ফিরে এসে আবারও খূঁজলাম। ফলাফল শুণ্য। এবার পুরো ঘরই ধরতে গেলে নাড়া দিলাম। যেখানে যতো ক্যাবল আছে সব বের করলাম। কিন্তু খূঁজে পাওয়া গেলো না। ঘাটাইলে কি নিয়ে গিয়েছিলাম ? সেখানে কি ফেলে আসলাম ? যতদূর মনে পড়ে ঘাটাইলে যাওয়ার দিন সকালে চার্জ করেছিলাম। এসব চিন্তা করতে করতে দারাজেও একবার ঢু মারলাম। একেবারই না পেলে তো একটা কিনতে হবে। না হলে স্মার্ট ওয়াচই বাতিল।
 
নাশতা করে ভাবলাম শেষ একবার কোণাকাঞ্চিতে খূঁজি। তারপর যা হয় হবে। আর তখনই চোখ গেলো ক্যামেরার চার্জারের দিকে, খাটের এক কোণায় পড়ে ছিলো। বের করতেই দেখি হতচ্ছাড়া এটার সাথেই লটকে ছিলো।
 
সাবধানের মার নাই। ভাবতেছি একটা ডুপ্লিকেট কিনে রাখবো।

ফেসবুক মন্তব্য

রিফাত জামিল ইউসুফজাই

জাতিতে বাঙ্গালী, তবে পূর্ব পূরুষরা নাকি এসেছিলো আফগানিস্তান থেকে - পাঠান ওসমান খানের নেতৃত্বে মোঘলদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে। লড়াই এ ওসমান খান নিহত এবং তার বাহিনী পরাজিত ও পর্যূদস্ত হয়ে ছড়িয়ে পড়ে টাঙ্গাইলের ২২ গ্রামে। একসময় কালিহাতি উপজেলার চারাণ গ্রামে থিতু হয় তাদেরই কোন একজন। এখন আমি থাকি বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায়। কোন এককালে শখ ছিলো শর্টওয়েভ রেডিও শোনা। প্রথম বিদেশ ভ্রমণে একমাত্র কাজ ছিলো একটি ডিজিটাল রেডিও কেনা। ১৯৯০ সালে ষ্টকহোমে কেনা সেই ফিলিপস ডি ২৯৩৫ রেডিও এখনও আছে। দিন-রাত রেডিও শুনে রিসেপশন রিপোর্ট পাঠানো আর QSL কার্ড সংগ্রহ করা - নেশার মতো ছিলো সেসময়। আস্তে আস্তে সেই শখ থিতু হয়ে আসে। জায়গা নেয় ছবি তোলা। এখনও শিখছি এবং তুলছি নানা রকম ছবি। কয়েক মাস ধরে শখ হয়েছে ক্র্যাফটিং এর। মূলত গয়না এবং নানা রকম কার্ড তৈরী, সাথে এক-আধটু স্ক্র্যাপবুকিং। সাথে মাঝে মধ্যে ব্লগ লেখা আর জাবর কাটা। এই নিয়েই চলছে জীবন বেশ।