করোনার সেইসব দিন

৫দিন আগে রাত্রে হঠাৎ করে জ্বর আসলো। জ্বর খূব বেশী না, তবে হালকা শরীর ব্যথা আর গলা খুস খুস করছিলো। আমি রাতে প্যারাসিটামল খেয়ে ঘুমাতে গেলাম। রাতেই যথারীতি ঘাম দিয়ে জ্বর ছাড়লো। একটু চিন্তায় পরলাম, বাসায় দূলাভাই এর করোনা হয়েছে। এদিকে আব্বা-আম্মার শারীরিক অবস্থা ভাল না। করোনা ছড়ালে এদের দূ’জনকে নিয়ে বিপদে পরতে হবে। পরের দুই দিন জ্বর নাই, গলায় খুসখুসে ভাবও নাই। বেশ কিছুদিন আগে আব্বাকে উঠিয়ে বসাতে গিয়ে হাতে টান পরেছিলো। শরীরে ব্যথা বলতে সেই হাত নারানোর সময় ব্যথাটাই লাগছিলো। গত পরশু দিন সন্ধ্যায় মনে হলো জ্বর। থার্মোমিটারে যতবারই দেখলাম ৯৭.৬-৯৮.৪ ডিগ্রির মধ্যেই দেখাচ্ছিলো। অথচ মুখে এবং শরীরে জ্বর হলে যেমন অনুভূতি হয় তার সবই ছিলো। যথারীতি প্যারাসিটামল এবং ঘাম দিয়ে জ্বর ছাড়লো। তবে এই কয়দিনে প্রচুর ঘাম আর প্রস্রাব হলো।
 
শেষ পর্যন্ত কোভিট -১৯ টেষ্ট করবো বলে ঠিক করলাম। এ এক আলাদা মানসিক যন্ত্রনা – হয়েছে কি হয় নাই। গতকাল স্যাম্পল নিয়ে গেলো সকালে। আজ সকালে রেজাল্ট পেলাম।
 
নেগেটিভ
 
(ফেসবুক ষ্ট্যাটাস অক্টোবর ১১, ২০২০)

ফেসবুক মন্তব্য

রিফাত জামিল ইউসুফজাই

জাতিতে বাঙ্গালী, তবে পূর্ব পূরুষরা নাকি এসেছিলো আফগানিস্তান থেকে - পাঠান ওসমান খানের নেতৃত্বে মোঘলদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে। লড়াই এ ওসমান খান নিহত এবং তার বাহিনী পরাজিত ও পর্যূদস্ত হয়ে ছড়িয়ে পড়ে টাঙ্গাইলের ২২ গ্রামে। একসময় কালিহাতি উপজেলার চারাণ গ্রামে থিতু হয় তাদেরই কোন একজন। এখন আমি থাকি বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায়। কোন এককালে শখ ছিলো শর্টওয়েভ রেডিও শোনা। প্রথম বিদেশ ভ্রমণে একমাত্র কাজ ছিলো একটি ডিজিটাল রেডিও কেনা। ১৯৯০ সালে ষ্টকহোমে কেনা সেই ফিলিপস ডি ২৯৩৫ রেডিও এখনও আছে। দিন-রাত রেডিও শুনে রিসেপশন রিপোর্ট পাঠানো আর QSL কার্ড সংগ্রহ করা - নেশার মতো ছিলো সেসময়। আস্তে আস্তে সেই শখ থিতু হয়ে আসে। জায়গা নেয় ছবি তোলা। এখনও শিখছি এবং তুলছি নানা রকম ছবি। কয়েক মাস ধরে শখ হয়েছে ক্র্যাফটিং এর। মূলত গয়না এবং নানা রকম কার্ড তৈরী, সাথে এক-আধটু স্ক্র্যাপবুকিং। সাথে মাঝে মধ্যে ব্লগ লেখা আর জাবর কাটা। এই নিয়েই চলছে জীবন বেশ।