কি করলাম জীবনে

কয়েকদিন আগেই ইউটিউবে দেখেছিলাম কেইসি নেইষ্ট্যাট আবার নিউইয়র্কে ফিরে এসেছেন। বছর তিনেক (খূব সম্ভবত) স্বপরিবারে ক্যালিফোর্নিয়ায় চলে গিয়েছিলেন। এই সময়টাতে তার ভিডিও খূব একটা আসছিলো না। তারপর গত সপ্তাহে দেখলাম তিনি আবার স্বপরিবারে নিউইয়র্কে ব্যাক করেছেন। তার পুরো পরিবারই নাকি নিউইয়র্ক মিস করছিলো। 

যাই হোক। নিউইয়র্কে ফেরার পর গত ৩ সপ্তাহে তিনি বেশকিছু ভিডিও আপলোড করেছেন। আজ তারই একটা দেখছিলাম। ভিডিও’র মূল কেন্দ্রে ছিলেন পিট নামের এক সার্ফার। এই পিট ছোটবেলায় চোখের কোন এক অসূখে অন্ধ হয়ে যান। দৃষ্টি বলতে কেবল সাদা-কালো দেখেন, মানে আলো এবং অন্ধকার বুঝতে পারেন। ঘটনা হলো এই অন্ধ লোকটি সমূদ্রে সার্ফিং করেন এবং সেসবের ভিডিও ইউটিউবে আপলোড করেন। সার্ফিং করার সময় তার বান্ধবি তার সাথে থাকেন এবং তিনিই মূলত পিট’কে গাইড করেন। সার্ফবোর্ড পিট এর পায়ের সাথে বাধা থাকে, ফলে সেটি ভেসে যায় না। পরে অবশ্য দেখলাম কেইসিও সার্ফবোর্ড তার পায়ের সাথে বেধে রেখেছেন। হয়তো এটাই নিয়ম।

দৃষ্টিশক্তিহীন এই মানুষটির আছে অসাধারণ শ্রবণ শক্তি। মূলত এই শ্রবণ শক্তি ব্যবহার করেই পিট তার কাজ করেন। এখানে বলে রাখা ভাল পিট একজন ভয়েস ওভার আর্টিষ্ট। তিনি তার ভয়েস ওভারের কাজ এবং ভিডিও এডিটিং এর কাজ সবই নিজে করেন। একবার চিন্তা করে দেখেন তো চোখ বন্ধ করে আমি / আপনি এইসব কাজ করতে পারবো !?! 

কেইসি নেইষ্ট্যাট এর ভিডিও দেখার পর পিট এর ইউটিউব চ্যানেল দেখছিলাম আর ভাবছিলাম ….
কি করলাম জীবনে !!!

পিট এর ইউটিউব চ্যানেল

কেইসি নেইষ্ট্যাট এর সেই ভিডিও

পিট এর উপর একটি ডকুমেন্টারি

পিট এর সাম্প্রতিক একটি ভিডিও 

ফেসবুক মন্তব্য

রিফাত জামিল ইউসুফজাই

জাতিতে বাঙ্গালী, তবে পূর্ব পূরুষরা নাকি এসেছিলো আফগানিস্তান থেকে - পাঠান ওসমান খানের নেতৃত্বে মোঘলদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে। লড়াই এ ওসমান খান নিহত এবং তার বাহিনী পরাজিত ও পর্যূদস্ত হয়ে ছড়িয়ে পড়ে টাঙ্গাইলের ২২ গ্রামে। একসময় কালিহাতি উপজেলার চারাণ গ্রামে থিতু হয় তাদেরই কোন একজন। এখন আমি থাকি বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায়। কোন এককালে শখ ছিলো শর্টওয়েভ রেডিও শোনা। প্রথম বিদেশ ভ্রমণে একমাত্র কাজ ছিলো একটি ডিজিটাল রেডিও কেনা। ১৯৯০ সালে ষ্টকহোমে কেনা সেই ফিলিপস ডি ২৯৩৫ রেডিও এখনও আছে। দিন-রাত রেডিও শুনে রিসেপশন রিপোর্ট পাঠানো আর QSL কার্ড সংগ্রহ করা - নেশার মতো ছিলো সেসময়। আস্তে আস্তে সেই শখ থিতু হয়ে আসে। জায়গা নেয় ছবি তোলা। এখনও শিখছি এবং তুলছি নানা রকম ছবি। কয়েক মাস ধরে শখ হয়েছে ক্র্যাফটিং এর। মূলত গয়না এবং নানা রকম কার্ড তৈরী, সাথে এক-আধটু স্ক্র্যাপবুকিং। সাথে মাঝে মধ্যে ব্লগ লেখা আর জাবর কাটা। এই নিয়েই চলছে জীবন বেশ।