দি এ টিম

আশি’র দশকে জনপ্রিয় টিভি সিরিজ ছিলো ‘The A Team’। বিটিভি’তেও নিয়মিত প্রচার হতো। মনে আছে অনেকেই সে সময় বিএ বারাকাস চরিত্রে রূপদানকারী মিঃ টি এর মতো করে চুলের ষ্টাইল করেছিলো।
 
সেসময় আমারো বেশ পছন্দের সিরিজ ছিলো। অনেক বছর পর আবারো ৪ বছরের প্রায় সবগুলো এপিসোড দেখার সূযোগ হলো। ৫ম বছরের আরো কিছু এপিসোড ছিলো, কিন্তু সেগুলো আর পেলাম না।
 
বড়বেলায় বেশ কিছু মজার বিষয় চোখে পড়লো যা ছোটবেলায় আদৌ চোখে পড়ে নাই বলেই মনে হচ্ছে। যেমন হাজার হাজার রাউন্ড গোলাগুলি হয়, কিন্তু কেউ আহত বা নিহত হয় না। আলাদা দুটি এপিসোডে মারডক এবং বিএ অবশ্য আহত হয়েছিলো গুলিতে। আরেকটা ব্যাপার হলো তারা স্বল্প সময়েই হাতের কাছে থাকা জিনিসপত্র দিয়ে প্রয়োজনীয় এক্সেসরিজ তৈরী বা গাড়ীর মডিফিকেশন তৈরী করে ফেলে। যেমন এক এপিসোডে দেখা গেলো ময়দা, চিনি, ডিমের সাথে বারুদ মিশিয়ে ওভেনে বেক করে ক্যানন বল তৈরী করেছে। আবার সেগুলো কামান দিয়ে ছুড়ে প্রতিপক্ষের গাড়ী ধ্বংসও করে ফেলেছে।
 
তারপরও ৯০+ এপিসোড দেখতে কিন্তু খারাপ লাগে নাই। কিছু সময়ের জন্য হলেও নিজের ছোটবেলায় ঘুরে আসতে পেরেছি।

ছবি : ইন্টারনেট / উইকিপিডিয়া

ফেসবুক মন্তব্য

রিফাত জামিল ইউসুফজাই

জাতিতে বাঙ্গালী, তবে পূর্ব পূরুষরা নাকি এসেছিলো আফগানিস্তান থেকে - পাঠান ওসমান খানের নেতৃত্বে মোঘলদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে। লড়াই এ ওসমান খান নিহত এবং তার বাহিনী পরাজিত ও পর্যূদস্ত হয়ে ছড়িয়ে পড়ে টাঙ্গাইলের ২২ গ্রামে। একসময় কালিহাতি উপজেলার চারাণ গ্রামে থিতু হয় তাদেরই কোন একজন। এখন আমি থাকি বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায়। কোন এককালে শখ ছিলো শর্টওয়েভ রেডিও শোনা। প্রথম বিদেশ ভ্রমণে একমাত্র কাজ ছিলো একটি ডিজিটাল রেডিও কেনা। ১৯৯০ সালে ষ্টকহোমে কেনা সেই ফিলিপস ডি ২৯৩৫ রেডিও এখনও আছে। দিন-রাত রেডিও শুনে রিসেপশন রিপোর্ট পাঠানো আর QSL কার্ড সংগ্রহ করা - নেশার মতো ছিলো সেসময়। আস্তে আস্তে সেই শখ থিতু হয়ে আসে। জায়গা নেয় ছবি তোলা। এখনও শিখছি এবং তুলছি নানা রকম ছবি। কয়েক মাস ধরে শখ হয়েছে ক্র্যাফটিং এর। মূলত গয়না এবং নানা রকম কার্ড তৈরী, সাথে এক-আধটু স্ক্র্যাপবুকিং। সাথে মাঝে মধ্যে ব্লগ লেখা আর জাবর কাটা। এই নিয়েই চলছে জীবন বেশ।