ফটোগ্রাফি : রিং লাইট

ফটোগ্রাফিতে নানা ধরণের আলোর ব্যবহার আছে। তার মধ্যে কিছু আবার কৃত্রিম আলো। ফ্ল্যাশ / ষ্ট্রোব ইত্যাদি হরহামেশাই ব্যবহার করা হয়। আবার ভিডিও করতে গেলে দরকার হয় কন্টিনিউয়াস লাইট। ইচ্ছে করলে এই কন্টিনিউয়াস লাইট ফটোগ্রাফির ক্ষেত্রেও ব্যবহার করা যায়। ইদানিং ফ্ল্যাশ বাদ দিয়ে তাই নানা ধরণের এবং সহজ লভ্য কন্টিনিউয়াস লাইট ব্যবহার করছি।

Self Portrait

খূব সাম্প্রতিক কালে ছোট একটি রিং লাইট কিনেছি দারাজ থেকে। এর সাইজ মাত্র ৬ ইঞ্চি, পাওয়ার এর জন্য দরকার ৫ ভোল্ট। তাই মোবাইল এর যে কোন চার্জার অথবা পাওয়ার ব্যাংক ব্যবহার করতে পারেন। ছোট সাইজ বলে আপনার ক্যামেরা ব্যাগে করে বহন করতে পারেন। তবে আউটডোরে কেমন কাজ হবে এখনও পরীক্ষা করা হয়নি।

https://www.flickr.com/photos/eusufzaibd/49360866458/in/photostream/

এই রিং লাইটের দাম পরেছে ৭৯০ টাকা, সাথে ৪৫ টাকা শিপিং। তবে এর সাথে কেবল একটি ছোট বলহেড আছে। সেলারের নাম জিরো রিটার্ন, তাদের কাছে আরো বেশ কিছু সাইজের এবং ট্রাইপড ইত্যাদি সহ রিং লাইট আছে। দাম ৭৯০ টাকা থেকে শুরু করে ৩৯৯০ টাকা পর্যন্ত। আমার কেনা রিং লাইটে ঠিক কতোটি এলইডি আছে সেটি বলা নেই। তবে ৩ ধরণের আলো পাবেন। হোয়াইট, ওয়ার্ম এবং ওয়ার্ম হোয়াট (মিক্সড), সাথে আলো কিছুটা কম-বেশী করার অপশন আছে। ছোট-খাট জিনিসের ছবি তুলতে এবং পোর্ট্রেট ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহার করতে পারেন। দাম হিসেবে খারাপ না।

হ্যাপি ক্লিকিং।

ফেসবুক মন্তব্য

রিফাত জামিল ইউসুফজাই

জাতিতে বাঙ্গালী, তবে পূর্ব পূরুষরা নাকি এসেছিলো আফগানিস্তান থেকে - পাঠান ওসমান খানের নেতৃত্বে মোঘলদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে। লড়াই এ ওসমান খান নিহত এবং তার বাহিনী পরাজিত ও পর্যূদস্ত হয়ে ছড়িয়ে পড়ে টাঙ্গাইলের ২২ গ্রামে। একসময় কালিহাতি উপজেলার চারাণ গ্রামে থিতু হয় তাদেরই কোন একজন। এখন আমি থাকি বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায়। কোন এককালে শখ ছিলো শর্টওয়েভ রেডিও শোনা। প্রথম বিদেশ ভ্রমণে একমাত্র কাজ ছিলো একটি ডিজিটাল রেডিও কেনা। ১৯৯০ সালে ষ্টকহোমে কেনা সেই ফিলিপস ডি ২৯৩৫ রেডিও এখনও আছে। দিন-রাত রেডিও শুনে রিসেপশন রিপোর্ট পাঠানো আর QSL কার্ড সংগ্রহ করা - নেশার মতো ছিলো সেসময়। আস্তে আস্তে সেই শখ থিতু হয়ে আসে। জায়গা নেয় ছবি তোলা। এখনও শিখছি এবং তুলছি নানা রকম ছবি। কয়েক মাস ধরে শখ হয়েছে ক্র্যাফটিং এর। মূলত গয়না এবং নানা রকম কার্ড তৈরী, সাথে এক-আধটু স্ক্র্যাপবুকিং। সাথে মাঝে মধ্যে ব্লগ লেখা আর জাবর কাটা। এই নিয়েই চলছে জীবন বেশ।