বাজার এবং জীবনযাত্রা

বাজার-সদাই এ ইদানিং সবারই খরচ বেড়েছে। সেই সাথে অন্যান্য খরচও বেড়েছে। অনেকেই বড় বাসা ছেড়ে ছোট বাসা ভাড়া নিচ্ছেন এই বাড়তি খরচ সমন্বয় করার জন্য।
 
প্রতিদিন হাটতে বের হলে একটু চোখ-কান খোলা রেখে হাটার চেষ্টা করি। এই যেমন উত্তরা ১২ নাম্বার সেক্টরের শাহ মখদুম এভিনিউ এ এলে চোখ যায় খাবার দোকান গুলোর দিকে। ২টা খালি প্লটে ছোট ছোট ফুড কার্ট দিয়ে সাজানো হয়েছে। সাথে চেয়ার টেবিল। মানে খোলামেলা ফুড কোর্ট আর কি। বিকেল থেকেই দেখা যায় লোকজন খেতে আসছে। সন্ধ্যা নামলে ভীড় আরো বাড়ে। চারিদিকে ঝলমলে আলো।
 
ফুড কোর্ট ছাড়াও কিছু ফাষ্টফুড আর রেস্তোরাও আছে। আবার ১১ নাম্বার, ৭ নাম্বার লেক পারে ছোট ছোট ভ্যানে করে ফাষ্টফুড বিক্রি হয়, বিক্রি হয় চটপটি আর ফুসকা। জামা-কাপড়ের ভ্যান আর ফলের ভ্যানের তো কমতি নাই।
 
হাটতে হাটতে দেখি আর ভাবি এই বাড়তি বাজারে বাড়তি খরচ করার লোকেরও আসলে অভাব নাই।

ফেসবুক মন্তব্য

রিফাত জামিল ইউসুফজাই

জাতিতে বাঙ্গালী, তবে পূর্ব পূরুষরা নাকি এসেছিলো আফগানিস্তান থেকে - পাঠান ওসমান খানের নেতৃত্বে মোঘলদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে। লড়াই এ ওসমান খান নিহত এবং তার বাহিনী পরাজিত ও পর্যূদস্ত হয়ে ছড়িয়ে পড়ে টাঙ্গাইলের ২২ গ্রামে। একসময় কালিহাতি উপজেলার চারাণ গ্রামে থিতু হয় তাদেরই কোন একজন। এখন আমি থাকি বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায়। কোন এককালে শখ ছিলো শর্টওয়েভ রেডিও শোনা। প্রথম বিদেশ ভ্রমণে একমাত্র কাজ ছিলো একটি ডিজিটাল রেডিও কেনা। ১৯৯০ সালে ষ্টকহোমে কেনা সেই ফিলিপস ডি ২৯৩৫ রেডিও এখনও আছে। দিন-রাত রেডিও শুনে রিসেপশন রিপোর্ট পাঠানো আর QSL কার্ড সংগ্রহ করা - নেশার মতো ছিলো সেসময়। আস্তে আস্তে সেই শখ থিতু হয়ে আসে। জায়গা নেয় ছবি তোলা। এখনও শিখছি এবং তুলছি নানা রকম ছবি। কয়েক মাস ধরে শখ হয়েছে ক্র্যাফটিং এর। মূলত গয়না এবং নানা রকম কার্ড তৈরী, সাথে এক-আধটু স্ক্র্যাপবুকিং। সাথে মাঝে মধ্যে ব্লগ লেখা আর জাবর কাটা। এই নিয়েই চলছে জীবন বেশ।